বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী দালালরা এখনও সক্রিয় : ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া

Looks like you've blocked notifications!
বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। ছবি : এনটিভি

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, ‘আজ কোনো কোনো মহল চায় না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। আজ বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী দালালরা ক্রিয়াশীল, তারা আমাদের রক্ত-অর্জিত স্বাধীনতা, উন্নয়ন ও সুশাসনকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে চায়।’ 

আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সবুজবাগে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার মিলনায়তনে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিপ্লব বড়ুয়া এই মন্তব্য করেন। এই সাধারণ সভার উদ্বোধন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও গবেষক গোলাম কুদ্দুছ।

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু আমি উন্নয়নের সূচকের কথা বলছি না। মেট্রোরেল কিংবা পদ্মাসেতু শুধু নয়, আমরা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেল শুধু  নয়, কর্ণফুলী ট্যানেল শুধু নয়, আজকে জাতি হিসেবে আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রযাত্রা হয়েছে।’ 

বিপ্লব বড়ুয়া আরও বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতিকে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের মধ্যে রাখার কথা ছিল না। আমরা সে জায়গাটি প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশপ্রেম ও দেশের প্রতি মমত্ববোধ সৃস্টির জন্য নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিবাচক মাত্রা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ, আমরা দেখছি বাংলাদেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে।’ 

‘স্বাধীনতার ৫২ বছরে স্বাধীনতা দিবসের দিনে মার্কিন পাররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন আজ চোখে পড়ার মতো। তাদের সক্ষমতা গত পঞ্চাশ বছরে এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে বাংলাদেশ একটি আঞ্চলিক নেতায় পরিণত হয়েছে। এটাও আমাদের মনে আছে, তাদের আরেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার স্বাধীনতা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বলেছিলেন, এই রাষ্ট্র অচিরেই একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এই রাষ্ট্র হচ্ছে একটি তলাবিহিনী ঝুড়ি। এই পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশে প্রগতি, উন্নয়ন, সুশাসনে এগিয়ে যাওয়ার যে স্বীকৃতি, তা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে বাধ্য হয়েছেন।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আমাদের দেশের কোনো কোনো মানুষ, কোনো কোনো অপশক্তি, সুনির্দিষ্ট একটি গ্রুপ, তারা উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়ার গল্প বলতে কোথায় যেন একটু কুণ্ঠাবোধ করেন। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতা দিবসের দিনে বাঙালির একটি সংবেদনশীল, একটি আবেগঘন দিনে, দেশপ্রেমের চরম প্রকাশের দিনে দেশের প্রধান সারির জাতীয় দৈনিক হিসেবে দাবি করে এমন একটি কাগজে রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিতভাবে একটি বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য একটি কাল্পনিক দিনমুজুরের মুখ দিয়ে যা বলার চেষ্টা করা হয়েছে, তাতে শুধু ত্রিশ লাখ মানুষের আত্মত্যাগের সঙ্গেই কটাক্ষ করা হয়নি, তারা বাংলাদেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেসব নাগরিকদের অসম্মান করেছেন। আজ এই কথাগুলো আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ বুদ্ধিষ্ট ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি প্রৌকৌশলী দিব্যেন্দু বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের মহাসচিব অধ্যাপক বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চিন্ময় বড়ুয়া রিন্টু, মহাসচিব প্রকৌশলী সীমান্ত বড়ুয়া, আধিবাসী ফোরামের সদস্য মেহথিন প্রমিল রাখাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।