বাগেরহাটের নদ-নদীতে বাড়ছে পানি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল
বাগেরহাটের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভৈরব, দড়াটানা, পানগুছি, পশুর ও বলেশ্বরসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে আজ বুধবার সকালে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব বলে জানিয়েছে মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এদিকে বনবিভাগ বলছে, বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে আড়াই ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ২০ দশমিক দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। জেলায় সকাল থেকে মাঝে মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর দমকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সাগর প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে।
এদিকে, বনবিভাগ জানিয়েছে, সুন্দরবনে পানি বাড়ায় অর্ধশতাধিক ট্রলার নিয়ে পাঁচশতাধিক জেলে সুন্দরবনের দুবলারচর, আলোরকোল এবং বেদাখালী খালে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অমরেশ চন্দ্র ঢালী জানান, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপস্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন ভারত উপকূলের ছত্রিশগরে অবস্থান করছে। আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। স্থল নিম্নচাপটি বৃষ্টি ঝরিয়ে আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যাবে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, 'মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার জোয়ারের পানি বেড়েছে সুন্দরবনে। দুই থেকে আড়াই ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে বনের বিভিন্ন এলাকা। করমজলের বনের ভিতরেও স্বাভাবিকের তুলনায় দুই ফুটের অধিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।'
এ ছাড়া মোংলা বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি থাকলেও বন্দরের ফেয়ারওয়েবয়া, হিরণপয়েন্ট, হাড়বাড়ীয়া ও জেটিতে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণের কাজ স্বাভাবিক গতিতেই চলছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার। তিনি বলেন, 'আবহাওয়া পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনীয় সতর্কতামুলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'