বান্দরবানে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বিজ্ঞপ্তি জারি ও মাইকিং

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবানে পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস। ছবি : এনটিভি

টানা বর্ষণে বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসন এবং পৌরসভার পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি ও মাইকিং করা হচ্ছে।

সরকারি সংস্থা ও জনপ্রতিনিধিরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে বান্দরবানে টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। তবে শনিবার দুপুরের পর থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে জেলায়। টানা বর্ষণে বান্দরবান সদরের কালাঘাটা, বালাঘাটা, ইসলামপুর, বনরুপা পাড়া, বাহাদুরনগর, এমডিএস এলাকা, হাফেজঘোনা, রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও লামা সূয়ালক সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কায় জেলায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসন এবং পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র এবং বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম বেবী বলেন, টানা বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ বস্তিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হচ্ছে। তারপরও যারা নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাবেন না, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাতটি উপজেলার ইউএনও ও চৌত্রিশটি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্তদের দুর্যোগ মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বান্দরবান আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল বলেন, শনিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সকালের পর থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে, যা থাকবে আরও কদিন।