বান্দরবানে নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৫ সদস্য আটক

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবানের থানচি-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযানে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব। ছবি : এনটিভি

পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জঙ্গিকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন  (র‌্যাব)। র‍্যাবের দাবি, আটক হওয়া জঙ্গিরা নতুন সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার সদস্য। আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব এ তথ্য জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে প্রায় তিন মাস ধরে র‌্যাব সদস্যরা সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছেন। অভিযানে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রশিক্ষণ আস্তানা থেকে এই পাঁচ জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে। আটক হওয়া জঙ্গিরা হলেন নোয়াখালী জেলার নিজাম উদ্দিন হিরন ওরফে ইউসুফ (৩০), কুমিল্লা জেলার সালেহ আহমেদ ওরফে সাইহা (২৭), মো. বাইজিদ ইসলাম ওরফে মুয়াজ (২১), ইমরান বিন রহমান শিতিল (১৭) এবং সিলেট জেলার সাদিকুর রহমান সুমন ওরফে বাইরু (২১)।

র‍্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে তারা নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার সদস্য।  

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠনে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঘরছাড়া ৫৫ যুবকই পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সস্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের প্রশিক্ষণ আস্তানায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তাদের মধ্য থেকে গতকাল বুধবার অভিযান চালিয়ে রোয়াংছড়ি থেকে দুজন এবং থানচি থেকে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে র‌্যাব। এ সময় আরও কয়েক জঙ্গি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে ইতোমধ্যে কয়েক দফায় চলমান অভিযানে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া ১২ জঙ্গি এবং কেএনএফের ১৪ জন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তারমধ্যে প্রথম দফায় সাত জঙ্গি, দ্বিতীয় দফায় পাঁচ জঙ্গি এবং প্রথম দফায় কেএনএফের তিন ও দ্বিতীয় দফায় ১১ জনকে আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। আটক জঙ্গিদের পুরোনো মামলায় রাঙামাটি সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জঙ্গি এবং তাদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেওয়া কেএনএফের বিরুদ্ধে র‌্যাবের এই অভিযান। পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় মানুষের নিরাপত্তায় এবং অর্থের বিনিময়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফ পাহাড়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া বন্ধে র‌্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। পাহাড়ে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।