বান্দরবানে মোখার প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টি, পাহাড় ধসের শঙ্কা

Looks like you've blocked notifications!
ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিপথ। ছবি : জুম আর্থের ওয়েবসাইট

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বান্দরবানে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড় ধসের শঙ্কায় জেলার সাতটি উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। খোলা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র।

প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বান্দরবান জেলায় শনিবান (১৩ মে) থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। আজ রোববার সন্ধ্যায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কায় এবং ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে  জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে (দুইশতাধিক) আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্র বা নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে গ্রামে গ্রামে অতিঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সতর্ক করা হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছে। একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। বান্দরবান সদরে অস্থায়ীভাবে ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। এসব জায়গায় ১৯ হাজার ৮০ জন একসঙ্গে থাকতে পারবে। এ ছাড়া রুমা উপজেলায় ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে; তাতে ৫১৫ জন। রোয়াংছড়ির ১৯ আশ্রয়কেন্দ্রে চার হাজার ৫০০; থানচি উপজেলার ছয় আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৪০; লামা উপজেলার ৫৩ আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ৪৯০; আলীকদম উপজেলার ১৫ আশ্রয়কেন্দ্রে তিন হাজার ১৩০; নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৪৫ আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ৪৫৭ জন থাকার জায়গা রয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে সাত উপজেলার জন্য তাৎক্ষণিক ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলায় ত্রাণ হিসেবে ৪১৬ দশমিক ৩১ মেট্রিক টন চাল ও নগদ আট লাখ টাকা মজুদ রয়েছে।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র সৌরভ দাশ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। ভারি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণ বসবাসকারীরে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করা হচ্ছে। চিহ্নিত এলাকাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে মাইকিং করা হচ্ছে। কাউন্সিলরদের সশরীরে পাঠিয়ে লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরানো হচ্ছে।