বান্দরবানে লকডাউন শিথিল, দোকান খোলা থাকবে ৬ ঘণ্টা করে

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবানে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সভাপতিত্বে আজ বুধবার কোভিড-১৯ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : এনটিভি

নববর্ষকে বরণ করতে বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সামাজিক উৎসব বৈসাবি ঘিরে কঠোর বিধিনিষেধ বা ‘লকডাউন’ শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ কিছু দোকানপাট প্রতিদিন সাময়িক সময়ের জন্য খোলা রাখা যাবে।

আজ বুধবার সকালে বান্দরবানে জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজির সভাপতিত্বে ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলা’ শীর্ষক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সভা শেষে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজি বলেন, ‘পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নববর্ষের সামাজিক উৎসব বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু, সাংক্রান উদযাপনের জন্য আজ বুধবার থেকে আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত কাপড়ের দোকান, কসমেটিকস, জুতা, ব্যাগের দোকান সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।’

কোভিড-১৯ কমিটির সভায় গৃহীত প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘তবে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকানগুলোতে বেচাকেনা করতে হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. লুৎফর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পালসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। প্রজ্ঞাপনটি ৪ এপ্রিল জারি করা হয়। এতে লকডাউনের মধ্যে সারা দেশে গণপরিবহণ বন্ধ, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা, কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করে ১১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব মো. শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনাগুলো জানানো হয়।

এদিকে আজ ‘লকডাউনের’ তৃতীয় দিনে বান্দরবানে অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলো অভ্যন্তরীণ যানবাহন চলাচল। রিকশা, ভ্যানগাড়ি, ব্যাটারিচালিত টমটম গাড়ি, জিপ, পিকআপ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোও মোটামুটি কমবেশি খোলা রাখতে দেখা গেছে জেলা শহরে। তবে দূরপাল্লার গণপরিহন যথারীতি বন্ধ ছিল। বান্দরবান বাজারসহ আশপাশের হাট-বাজারগুলোতে জনসমাগম ছিলো চোখে পড়ার মতো।

অপরদিকে লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও খুব একটা চোখে পড়েনি আজ। প্রথম দুদিনে স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং দোকান খোলা রাখার অভিযোগে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়েছে।