বান্দরবানে সাংগ্রাই উৎসব শুরু

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। ছবি : এনটিভি

বান্দরবানে মারমা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় রাজারমাঠে বেলুন উড়িয়ে চার দিনব্যাপী সাংগ্রাই উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। পরে সাংগ্রাই উৎসবকে ঘিরে আয়োজিত বর্ণাঢ্য সাংগ্রাই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন মন্ত্রী।

শোভাযাত্রায় মারমা, ম্রো, খুমি, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, বম, লুসাইসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃজনগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষরা নিজস্ব জাতিসত্তার পোশাক পড়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বয়স্ক পূজা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ‘পাহাড়ে শান্তি ও উন্নয়নে সবাই হিংসা ভেদাভেদ ভুলে একমনে-একপ্রাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা দূর করে সম্প্রীতির মেলবন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে সবার। পাহাড়ে উৎসব মানেই পাহাড়ি বাঙালি সব মিলেমিশে একাকার। পার্বত্য চট্টগ্রামকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ উন্নয়নের বিকল্প নেই। সস্প্রীতির জেলা হচ্ছে বান্দরবান। এখানকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে একটা গোষ্ঠী নানান ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে আমাদের।’

সাংগ্রাই উৎসবের দ্বিতীয়দিন আগামীকাল শুক্রবার ধর্মীয়ভাবে বুদ্ধমূর্তি স্নান অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষু, শ্রমণ এবং বৌদ্ধ ধর্মালম্বী নারী পুরুষেরা খালি পায়ে হেঁটে সাঙ্গু নদীর চরে মিলিত হবে বুদ্ধমূর্তির স্নান অনুষ্ঠানে। কয়েকশ বছরের পুরোনো কষ্টিপাথরের বুদ্ধমূর্তিতে পবিত্র জল ঢালা হবে পুণ্যের আশায়। শেষে বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হবে। তৃতীয়দিন স্থানীয় রাজারমাঠে সাংগ্রাইয়ের উৎসবের মূল আকর্ষণ জলকেলী বা ঐতিহ্যবাহী পানি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। পাহাড়ি মারমা তরুণীরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে মেতে ওঠে জলকেলীতে। প্রচলিত আছে জলকেলীর মাধ্যমে মারমা তরুণ-তরুণীরা ভাবের আদান প্রদান করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। রাতের বেলায় পাহাড়ি পল্লীগুলোতে সারিবদ্ধভাবে বসে পিঠা তৈরি করা হবে। চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।