বান্দরবানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন আরো ২ করোনাজয়ী
বান্দরবানে করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন আরো দুজন। এঁরা হলেন থানচি সোনালী ব্যাংকের গার্ড পুলিশ সদস্য আবু জাফর এবং নাইক্ষ্যংছড়ি কম্বোনিয়া গ্রামের নারী জান্নাতুল হাবিবা। প্রথম জন ১৪ দিনের মাথায় এবং আক্রান্ত নারী ১২ দিনের মাথায় সুস্থ হয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে বাড়ি ফিরে গেছেন। এর আগে জেলায় প্রথম নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের করোনা আক্রান্ত রোগী আবু ছিদ্দিকও সুস্থ হয়ে ১২ দিনের দিন নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মো. সেলিম বলেন, ‘নাইক্ষ্যংছড়িতে আক্রান্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচজন। এর মধ্যে দ্বিতীয় জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তার আগে প্রথম শনাক্ত করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। বর্তমানে বাড়ি ফিরে যাওয়া নারীর আত্মীয়স্বজন আরো তিনজন চিকিৎসাধীন। তাঁরাও ভালোর দিকে। চিকিৎসায় সুস্থ হচ্ছে আক্রান্তরা। আতঙ্কের কিছু নেই।’
সদর হাসপাতালের করোনা বিভাগের কর্মকর্তা ডা. প্রত্যুষ পাল বলেন, ‘সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত থানচির পুলিশ সদস্য আবু জাফর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন শুক্রবার। তিনি ২১ এপ্রিল করোনা শনাক্ত হোন। সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা শুরু হয় ২৪ এপ্রিল থেকে। বর্তমানে থানচি উপজেলার বড়মদকের বাসিন্দার একজন ঠিকাদার চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থাও ভালোর দিকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘খুশির খবর হচ্ছে জেলায় আক্রান্ত সদর হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থানচি, লামা এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আরো ছয়জন রোগীর দ্বিতীয় করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা বলেন, ‘জেলার সাতটি উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত ৬৬৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার দুটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ৪৫১জনের রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। এর মধ্য ৯ জন পজিটিভ রোগী পেয়েছি। বাকি রিপোর্টগুলোর রেজাল্ট এখনো পায়নি। শনাক্ত রোগীদের মধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আরো ছয়জনের দ্বিতীয়বারের রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে।’