বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, রোগী ভর্তির রেকর্ড আইসিডিডিআরবিতে

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালের সামনে রোগীর স্বজনদের ভিড়। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীতে হঠাৎ করেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে রেকর্ডসংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছে মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালে। গত দুই দিনের হিসেব বলছে, প্রতি ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে ৫০ জনের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে।

হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা তারিফুল ইসলাম আজ বুধবার বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারিফুল ইসলাম জানান, ‘মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টা থেকে বুধবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ৭৬০ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছে। ঘণ্টা হিসেবে ধরলে প্রতি ঘণ্টায় ৪৭ দশমিক ৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।’

তারিফুল আরও জানান, ‘সোমবার দিনগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত ১ হাজার ২৭২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৩ জন। গত ২১ মার্চ রোগী ভর্তি হয়েছিল ১ হাজার ২১৬ জন। অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ দশমিক ৬৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।’

তারিফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘২০০৭ সালে কয়েকদিন ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১ হাজার করে রোগী ভর্তি হয়েছিল। ২০১৮ সালেও কিছুদিন প্রায় ১ হাজার করে রোগী ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু আমি কখনো এমন দেখিনি, একদিনে প্রায় ১ হাজার ৩০০ রোগী ভর্তি হয়েছে।’

আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহে দৈনিক ৫০০-এর মতো রোগী এসেছে। দ্বিতীয় সপ্তাহে দৈনিক রোগী বেড়ে হয়েছে ৬০০। ১৭ মার্চ থেকে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। এই সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।

আজ বুধবার বিকেলে হাসপাতালের প্রধান বাহারুল আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রোগীর চাপ আরও বাড়তে থাকলে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া মুশকিল হয়ে উঠবে। এখনি আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি। বিশেষ করে পানি ফুটিয়ে খাওয়া ছাড়া উপায় দেখছি না। মূলত বছরে দুই বার ডায়েরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। বর্ষার আগে একবার আর শীতের আগে আরেকবার। রোগীদের ৩০ শতাংশ তীব্র ডায়রিয়া বা কলেরায় আক্রান্ত।’

বাহারুল আলম বলেন, ‘এখন গরম বেশি পড়া ও পানির কোয়ালিটির কারণে ডায়েরিয়া হচ্ছে। সুতরাং আমার পরামর্শ হচ্ছে, সব সময় ফুটানো পানি খাওয়ার। বাইরে গেলেও প্রয়োজনে ফুটানো পানি নিয়ে বের হওয়া উচিত। কারণ বাইরের পানি তো ভালো নাও হতে পারে। জারের পানিও পরীক্ষা না করে খাওয়া মুশকিল। ফলে, নিরাপদ হচ্ছে নিজ হাতে ফুটানো পানি খাওয়া।’