বিআরটিএ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Looks like you've blocked notifications!
দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়। ফাইল ছবি

পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার বেরহাউলিয়া গ্রামের আ. জলিল মিয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা নাছরিনের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আ. জলিল মিয়া পটুয়াখালী জেলার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর আজ বুধবার বিকেলে এই মামলা করেন। ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করা হয় বলে মামলার এজাহারে অভিযোগে করা হয়েছে। দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক খায়রুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আ. জলিল মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা নাছরিনের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৭৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৩৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার প্রমাণ মিলেছে। সব মিলিয়ে চার কোটি ৩৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অপরাধযোগ্য সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। 

মাহমুদা নাছরিনের নামে আয়কর নথি থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন গৃহিণী। তার নিজস্ব কোনো আয় নেই। তার সব সম্পত্তি স্বামী জলিল মিয়ার অবৈধ আয় দিয়ে অর্জন করা। জলিল মিয়া অবৈধ আয়কে বৈধ করতে নিজের নামে সম্পদ না করে স্ত্রীর নামে করেন। অর্থাৎ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ তার স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও রূপান্তেরর মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। সে কারণেই জলিল মিয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা নাছরিনের বিরুদ্ধে দুদকের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে।

দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক খায়রুল হক জানান, এ বিষয়ে দুদক পাবনা অফিসে একটি নিয়মিত মামলা রজু হয়েছে। মামলাটি তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হবে। এই মামলা থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। একজন দুর্নীতি করে সম্পদ বানালে তার দায়ভার তার পোষ্যদেরও নিতে হবে।