বিএনপির কার্যালয় থেকে ১৬০ বস্তা চাল উদ্ধারের দাবি পুলিশের

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘নয়াপল্টনে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিস্ফোরক ও ১৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া গেছে। দুই লাখের বেশি টাকা, অসংখ্য পানির বোতল, ১৬০ বস্তা চাল এবং রান্না করা খিচুড়ির কয়েকটি ডেকচি উদ্ধার করা হয়।’

গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘অনেকে ককটেল বিস্ফোরণ করে পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে পড়েছিল। সেখান থেকে আমরা অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। তারা প্রাথমিকভাবে স্বীকারও করেছে।’ যদিও অভিযান চলাকালেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘পুলিশ ব্যাগে করে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে গেছে।’

ডিবির ঢাকা প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি পার্টি অফিসের সামনে তারা রাস্তা বন্ধ করে বসে পড়বেন। পুলিশ যখন তাদের বললো—আপনাদের রাস্তা বন্ধ করাটা ঠিক হচ্ছে না, তখন পুলিশের ওপর তারা চড়াও হয়। পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। তারা পুলিশের দিকে শতশত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমাদের অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।’

ডিবি প্রধান বলেন, ‘যখন দেখলাম অনেক ককটেল বিস্ফোরণ হচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দলীয় কার্যালয়ে আমরা প্রবেশ করি। সেখানে দেখলাম অবিস্ফোরিত ককটেল রয়েছে। আমরা দুই লাখের অধিক টাকা পেলাম। পানির বোতল, খিচুড়ি, ১৬০ বস্তা চাল এবং খিচুড়ি রান্না করা অবস্থায় পেয়েছি।’

হারুন অর রশিদ বলেন, ‘একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার জন্য বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেওয়া হলো, আরও তিন দিন বাকি—কিন্তু তারা সেখানে যাবেন না। তাদের দরকার থাকতেই পারে। তারপরও তারা আজকে ৭ তারিখ এখানে (নয়াপল্টন) রাস্তায় বসে পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালেন, পুলিশকে আহত করলেন। তার ধারাবাহিকতায় বিএনপি অফিসে ঢুকে অবিস্ফোরিত ককটেল পেলাম, যেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। আমি মনে করি, এটি তাদের একটি দুরভিসন্ধি ছিল।’

আটক ও গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ‘আশপাশের এলাকা থেকে তিন শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছি। এরমধ্যে অনেকেই আছেন যারা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, অনেকেই আছেন মামলার আসামি। তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। যাচাই-বাছাই করব। তাদের বিরুদ্ধে যদি সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে মামলা করা হবে।’ পুলিশ আহত হওয়ার বিষয়ে ডিবি প্রধান বলেন, ‘৫০ জনের অধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া অনেক পুলিশ রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন’।