বিএনপি আগুন আর লাঠি নিয়ে এলে খেলা কাকে বলে দেখানো হবে : ওবায়দুল কাদের

Looks like you've blocked notifications!
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি : এনটিভি

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহাসমাবেশ থেকে আক্রমণের চেষ্টা হলে জবাবে পাল্টা আক্রমণ করা হবে। জনগণকে নিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের ১০ তারিখের কর্মসূচিতে কোনো বাধা দিতে চাই না। তবে এবার খেলা হবে। খেলা হবে, যদি তারা সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, আগুন আর লাঠি নিয়ে আসে, তবে খেলা কাকে বলে, তা দেখানো হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে খেলা হবে, খেলা। খেলা হবে আন্দোলনে, খেলা হবে হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিথ্যা কথা দিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে। মিথ্যা না থাকলে বিএনপির অস্বিত্ব থাকত না।’

শেখ হাসিনার হাতে ক্ষমতা আছে বলেই বাংলাদেশ নিরাপদ রয়েছে দাবি করে জনগণকে নিরাপদ রাখতে আওয়ামী লীগ আগামীতেও ক্ষমতায় আসবে বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নেত্রকোনায় এসে দেখে যান সম্মেলনে মানুষের ঢল কাকে বলে। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে।’ বিএনপি কয়েকটি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামানোর হুমকি দিচ্ছে দাবি করে সেতুমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেন।

নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়র রহমান খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরুর সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সংসদ সদস্য মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেংসহ স্থানীয় নেতারা।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে আগামী তিন বছরের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলামকে সভাপতি আর অ্যাডভোকেট সামছুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।