বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ : ছাত্রদল-যুবদল সভাপতিসহ ৪৫০ জনের নামে মামলা

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলা। ছবি : এনটিভি

পটুয়াখালী সদর থানায় পৃথক দুই মামলায় জেলা যুবদল ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার (২০ মে) আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ঘটা সংঘর্ষের ঘটনায় এ মামলা হয়।

গতকাল শনিবার ও আজ রোববার মামলা দুটি করা হয়। মামলা দুটির বাদী হলেন আওয়ামী লীগের দুজন কর্মী।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মামলার খবরে গা-ঢাকা দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, শনিবার পৌরসভার মুসলিমপাড়া মোড়ে সারা দেশের ন্যয় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে বিএনপির লোকজন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বাসাবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। হামলায় বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এক মামলায় জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মনির মুন্সিকে প্রধান আসামিসহ ২৯ জন নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে আরও অ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয়।

একই থানায় আজ রোববার করা অপর মামলায় বাদী জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেছেন, মুসলিমপাড়া মোড়ে যুবলীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে যুবদল হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটনকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয়েছে।

পটুয়াখালী সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বাদী দুজন তাদের মামলায় একই অভিযোগ এনেছেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় মামলা গ্রহণ করে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওসি বলেন, আসামিরা পলাতক, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

মামলার প্রতিক্রিয়ায় জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা মামলা করা হবে। থানা মামলা না নিলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল শনিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ চলাকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরে উভয় দলের নেতাকর্মীরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ উভয় দলের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি উজ্জ্বল তালুকদারসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী আহত হন বলে জানা যায়।