বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‌‘সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের নিয়ে গিয়ে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে বহিরাগতদের নিয়ে সমাবেশ ঘটিয়ে সেখানেও তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে। এগুলোর পেছনে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিশ্চয়ই হাত আছে।’

কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আবৃত্তি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারেক রহমান বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে করে সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য তাদের দলের যেসব সন্ত্রাসী আছে তাদের নির্দেশ দিচ্ছে। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অপচেষ্টা প্রতিহত করবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু শুধু উন্নয়নযজ্ঞ নয়, এটি বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক। এ ছাড়া বিএনপি ও ড. ইউনূসসহ ষড়যন্ত্রকারীদের গাত্রদাহ। এটি নিয়ে এখন আর কেউ মুখ খোলে না। কারণ স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি দেশে আবারও একটি অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপ্রিম কোর্টের সামনেও তাদের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীরা অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে। তারেক রহমান নিজেই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাকে কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়টিও দেখছে সরকার।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করার ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ অব্যাহত আছে। তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে মায়া দেখিয়ে কারাগার থেকে বাহিরে রেখেছেন বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাকে কারাগার থেকে বাড়িতে আনার সুযোগ দিয়েছেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু শুধু বিএনপির জালা নয় এটি ড. ইউনূসসহ আরও অনেকের গাত্রদাহ। মিথ্যাচার করে বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতু নিয়ে যে কথা বলেছেন তারা এখন আর মুখ খুলছেন না। কারণ তাদের মিথ্যাচার প্রমাণিত হয়ে গেছে। তাই নতুন নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ খুঁজেছন।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।