বিএনপি বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায় : ওবায়দুল কাদের

Looks like you've blocked notifications!
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মকবুল হোসেন কলেজে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। জনগণকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনার সরকার এ দেশের নারীদের সম্মানিত করেছে। নারীদের কর্মক্ষেত্রে ব্যাপকতা দিয়েছে সরকার। মায়েদের সম্মানিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’

আজ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মকবুল হোসেন কলেজে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিএনপি-জামাতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য-সহিংসতা ও আগুন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

বিএনপির আন্দোলনের খেলা শেষ জানিয়ে কাদের বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান কিংবা গণজাগরণ, বিএনপির আন্দোলনের নদীতে জোয়ার নেই, গণ জোয়ার আসে না। বিএনপি স্লো-মোশনে পদযাত্রা করছে, শর্ট মার্চ থেকে লং মার্চে যাচ্ছে, সবই ভুয়া।’

এদেশের গণতন্ত্র ঠিক আছে কি না সেটা বর্তমান সরকারের ভাবনা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার জন্য হাজারো তদবির করে ব্যর্থ হচ্ছে বিএনপি। বিদেশিদের সঙ্গে লবিং করেও ব্যর্থ। একের পর এক বিদেশি কূটনীতিকরা বাংলাদেশে এসেছেন এবং সরকারের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। কিন্তু তারা বিএনপির সঙ্গে কোনো বৈঠক করেনি। কূটনীতিকরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠক করেছে আর বিএনপি বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে।’

বিএনপি গণতন্ত্রের বিষফোঁড়া জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এদের কাছে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়, তাদের কাছে দেশ কিংবা জনগণ নিরাপদ নয়। ঘরে বসে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখা আর জানালা দিয়ে পুলিশের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে না। পালিয়ে যায় তারেক রহমান। আওয়ামী লীগের শেকড় অন্তরে অন্তরে। আওয়ামী লীগ থাকবে, পালিয়েছেন আপনারা, পালাবেনও আপনারা। পদযাত্রার নামে যতই অপচেষ্টা করুক না কেন নির্বাচন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’

সরকার ক্ষমতাকালীন সামগ্রিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে কাদের বলেন, ‘১৪ বছর আগে ঢাকা কিংবা পুরো বাংলাদেশে কতটা পরিবর্তন তা দৃশ্যমান। যেদিকে দেখা যায় উন্নয়ন আর উন্নয়ন। বিশ্ব সংকটেও বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করে। তারা শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নে খুশি, মন খারাপ শুধু বিএনপির।’

উন্নয়ন প্রসঙ্গে কাদের আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারের আরেকটি সফলতা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, পায়রা সমুদ্র বন্দর, রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপালের কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র। একদিনে ১০০ সেতুর উদ্বোধন কেবল শেখ হাসিনা সরকারের দ্বারাই সম্ভব।’

তারেক জিয়া লুটপাট ও সন্ত্রাসের সর্বোচ্চ  অবস্থানকারী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমান সরকার বেশি দামে জ্বালানি কিনে ভর্তুকি দিয়ে দেশ চালাচ্ছে। আর লুটপাটের রাজা তারেক, হাওয়া ভবনকে খাওয়া ভবন বানিয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রশংসায় কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার পরিবার সাধারণ জীবনযাপন করেন। নিজের ভাগ্য নয় সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে শেখ হাসিনার সরকার।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সংসদ সদস্য সাদেক খান।