বিএনপি বাড়ি দখল করেছে আর আ.লীগ ঘর করে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
ময়মনসিংহ জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে আজ শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহের বিভাগীয় জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বিটিভি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি মানুষের বাড়ি দখল করেছে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গৃহহীন ও রাস্তার মানুষকে ঘর করে দিচ্ছি। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না।

আজ শনিবার (১১ মার্চ) বিকালে ময়মনসিংহ জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহের বিভাগীয় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন ম্যাট্রিক পাস। আর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নাকি মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি শুধু অঙ্ক আর উর্দুতে পাস করেছেন। উর্দু পাকিস্তানের ভাষা- এটা তার খুব প্রিয় ভাষা। আর অঙ্কতো টাকা গোনা লাগে- ওই দুইটাতেই পাস করেছেন আর কোনোটাতে পাস করতে পারেননি। তাদের ছেলে একবার এই স্কুল ওই স্কুল শেষ কী পাস করেছে কেউ জানে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, আমরা আজকে প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। যেখানে বিদ্যুৎ নাই আমরা সোলার প্যানেল করে দিচ্ছি। অনেক দুর্গম এলাকায়ও সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। এছাড়া, আরও ৪০ লাখ গৃহহীনকে ঘর করে দেওয়া হবে ।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি শুনেছি, বিএনপির কোনও এক নেতা আছে নাকি সারা দিন মাইক নিয়ে বসে থাকে। তারা নাকি বলে, আমরা নাকি দেশ ধ্বংস করে দিচ্ছি। আচ্ছা ময়মনসিংহবাসী আপনারাই বলুন, আমরা কি দেশ ধ্বংস করে দিচ্ছি? বিদ্যুৎ উৎপাদন আমরা বাড়াই বিএনপি কমায়। বিএনপির আমলে দুর্নীতিবাজরা কমিয়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে। আমরা চাই, সব ঘর আলোকিত হোক। বিদ্যুৎ না হলে এত কথা মাইকে আসতো কীভাবে। 

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদেরকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। আমরা নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। ২০৪১ সালে আমাদের জনগোষ্ঠী স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। আমাদের গ্রাম, কৃষি সবকিছু হবে স্মার্ট। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে, দেশের উন্নয়ন করা। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২১০০ সালের মধ্য ডেল্টা প্ল্যান করে এই ভূখণ্ড আরও উন্নত করবো।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে এক ইঞ্চি মাটিও পতিত থাকবে না। দেশের আনাচে কানাচে সব মাটি মাটিতে ফসল ফলাব। নিজের খাবারের জন্য মাঠে কাজ করতে কোনো লজ্জা নেই। আমরা নিজেরা খাদ্যশস্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করবো। আমরা আর কারও কাছে হাত পাততে চাই না। আমরা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করেছি। মানুষ এখন দেশে শান্তিতে বসবাস করছে। এখন আমাদের ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে। বর্তমানে দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করে এই সভায় এসেছেন। আপনারা এই সভাকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন। আপনাদের উদ্দেশে বলতে চাই। রিক্ত আমি নিঃস্ব আমি দেবার কিছু নাই। আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই।