বিজিবির মাধ্যমে এক যুগ পর বাবাকে ফিরে পেলেন নারী ভাইস চেয়ারম্যান

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছাবিনা এক্কারের কাছে এক যুগ আগে হারিয়ে যাওয়া বাবা যতীন্দ্রনাথকে তুলে দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা। ছবি : এনটিভি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহায়তায় ১২ বছর পর বাবাকে ফিরে পেলেন নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছাবিনা এক্কার। তাঁর বাবার নাম যতীন্দ্রনাথ। তিনি উপজেলার আগ্রাদ্বিগুণ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।

আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজিবি পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে মেয়ে ছাবিনা এক্কারের কাছে তাঁর বাবা যতীন্দ্রনাথকে হস্তান্তর করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যতীন্দ্রনাথ মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ১২ বছর আগে নিজ বাড়ি থেকে হারিয়ে যান। গত ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁর মেয়ে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জানতে পারেন তাঁর বাবা ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের রায়নগর গ্রামের মন্দিরে আছেন। এলাকাটি পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের (১৪ বিজিবি) সীমান্ত এলাকা হওয়ায় তিনি ১৪ বিজিবির অধিনায়ককে বিষয়টি জানান। ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হামিদ উদ্দিন ভারতের ১৬৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমাড্যান্টের কাছে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিককে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মানবিক সহযোগিতা কামনা করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পরে গতকাল সোমবার রাতে সীমান্ত পিলার ২৬০/৭-এস দিয়ে ১৬৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ডাংগী বিএসএফ ক্যাম্প থেকে পত্নীতলা বিজিবি ব্যাটালিয়নের (১৪ বিজিবি) বস্তাবর বিওপির সদস্যদের মাধ্যমে ১২ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া যতীন্দ্রনাথকে তার মেয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে যতীন্দ্রনাথের মেয়ে ধামইরহাট উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছাবিনা এক্কার বলেন, ‘দীর্ঘ ১২ বছর পর বাবাকে খুঁজে পাব—তা কখনো কল্পনাও করিনি। মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় বিজিবির সহায়তায় আমি আমার বাবাকে ফিরে পেয়েছি। সত্যিই আজ আমি খুব খুশি।’