বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিয়ে ভাইরাল জেলা প্রশাসক!

Looks like you've blocked notifications!
নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের ‘বালাগ্রাম সাউথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। ছবি : সংগৃহীত

স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে শ্রেণি কক্ষে ক্লাস নিয়েছেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। গত সোমবার দুপুরে জেলার জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের বালাগ্রাম সাউথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এই পাঠদান করেন।

জেলা প্রশাসকের বই হাতে ব্ল্যাকবোর্ডে লেখার ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

জেলার প্রশাসনিক শীর্ষ এই কর্মকর্তার ক্লাসে পাঠদান শিক্ষাঙ্গণে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।

সবুজেঘেরা মিনি পার্ক সংবলিত আলোচিত এই বিদ্যালয় পরিদর্শনের অংশ হিসেবে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাসে যান এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় পাঠ্যবই হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন জেলা প্রশাসক। ছবিতে দেখা যায়, কবিতা ও গণিত বিষয়ে পাঠদান করছেন তিনি।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মেরাজ উদ্দিন বলে, আমরা ডিসি স্যারকে চিনতাম না। তিনি এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ক্লাস নিয়েছেন। আমরা খুব খুশি হয়েছি। এতবড় একজন মানুষ আমাদের পড়িয়েছেন—এটা আগে দেখিনি কখনও।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজালুর রহমান বলেন, ডিসি স্যার এসে মুগ্ধ হয়েছেন এখানকার পরিবেশ দেখে। পরে তিনি শ্রেণিকক্ষে যান এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান। এটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

জেলা প্রশাসকের এই শ্রেণিকক্ষে আসা বিদ্যালয়, শিক্ষক, শিক্ষিকা, অভিভাবক, শিক্ষার্থী সর্বোপরি শিক্ষাক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে।

এ বিষয়ে নীলফামারী মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ও ডিস্ট্রিক পলিসি ফোরামের সভাপতি গোলাম মোস্তফা জেলা প্রশাসকের শ্রেণিকক্ষে যাওয়াকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, নিশ্চয়ই এটা প্রভাব ফেলবে সবার মধ্যে। কারণ জেলার প্রতিটি বিষয় দেখভাল করার দায়িত্ব রয়েছে একজন ডিসির। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে হয়তো ক্লাসে যাওয়া হয় না বা পারেন না। তবে যাওয়া উচিত। তাহলে যেমন শিক্ষার্থীরা উৎসাহ পাবে, তেমনি তাদের মধ্যে বড় কর্মকর্তা কিংবা শিক্ষিত মানুষ গড়ে ওঠার মানসিকতা তৈরি হবে।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, নীলফামারী জেলাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত পরিদর্শনের পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছি।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমি প্রশাসনে চাকরি করলেও শিক্ষকতা পেশার প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা রয়েছে।