বিপুল মুঠোফোন জব্দ, গ্রেপ্তার ৭

Looks like you've blocked notifications!
র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মোবাইল চুরি-ছিনতাই চক্রের সাত সদস্য। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর বনানী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে চুরি ও ছিনতাইয়ের মোবাইল ফোন চক্রের মূলহোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল তাঁদেরকে গ্রেপ্তারের সময় ৬৫টি ট্যাব, এক হাজার ১৫টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ৩১৭টি বাটন মোবাইল ফোন, ৬টি সিমকার্ড ও নগদ ২০ হাজার ২১০ টাকা জব্দ করা হয়।

আজ শুক্রবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—মূলহোতা আবুল হোসেন (২৮), নজরুল ইসলাম (৪৬), তাজউদ্দিন আহম্মেদ (৪৮), মো. মাঈনউদ্দিন (৩০), সুজন মিয়া (২৩), মো. মানিক (৩০) ও লিটন মিয়া (৪০)।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব দাবি করে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা সবাই মোবাইল ছিনতাই ও চোরচক্রের সঙ্গে যোগসাজশে চোরাই ও ছিনতাইকৃত মোবাইলের অবৈধ ব্যবসা করে আসছিলেন। মোবাইলগুলোর আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে বিভিন্ন চক্রের যোগসাজশে বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ভাসমান দোকানে গোপনে বিক্রি হচ্ছে। আর এসব চোরাই মোবাইলের মূল ক্রেতা মূলত স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।

আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় অবৈধ মোবাইল কেনাবেচা নিয়ে তৎপর রয়েছেন।’

আরিফ বলনে, ‘চোরাই মোবাইল ফোন বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ভাসমান দোকানে গোপনে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা সুকৌশলে নানা সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি এবং ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন কেনা-বেচায় জড়িত রয়েছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, চক্রের মূলহোতা আবুল হোসেনের নেতৃত্বেই ছিনতাইকারী ও চোরচক্রের সদস্যরা সুকৌশলে নানা সিন্ডিকেট হোতার সঙ্গে যোগসাজশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোবাইল সংগ্রহ করতেন। 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ‘মূলত ছিনতাই ও চোরাই মোবাইল ফোনগুলো অল্প দামে কিনে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে সুযোগ বুঝে বেশি দামে বিক্রি করতেন তাঁরা।’