বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে ধরলা, কমছে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি
কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি উজানের ঢলে বৃদ্ধি পেয়ে সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হয়ে পড়েছে ধরলা অববাহিকায় নিম্নাঞ্চলগুলো। যার ফলে তলিয়ে গেছে রোপা আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত।
সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের বাসিন্দা আফসার আলী বলেন, ভরা বর্ষায় বন্যা না হওয়ায় জমিতে আমন লাগিয়েছি। সেই আমন পানির নিচে। শেষ সময়ে এসে হঠাৎ করে ধরলার পানি বাড়ল। এই পানি যদি এক-দুইদিনের মধ্যে নেমে যেত তাহলে সমস্যা হবে না। আর যদি পানি আরো বেড়ে যায় তাহলে আমন চারা নষ্ট হয়ে যাবে।
এদিকে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। কবলিত এলাকাগুলোতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবো জানিয়েছে, কুড়িগ্রামে সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তায় পানি হ্রাস পেতে শুরু করেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধরলার পানিও কমতে শুরু করবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।