বিস্ফোরণের ঘটনায় নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে শনিবার দুপুরে একটি রিসোর্টে মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি : এনটিভি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সাম্প্রতিক ঘটা বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনো কোনো নাশকতার প্রচেষ্টা দেখিনি। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এ পর্যন্ত যে রিপোর্ট দিয়েছে, সেখানে আমরা কোনো নাশকতার প্রমাণ পাইনি। নাশকতার কোনো পরিকল্পনার সংবাদও আমাদের কাছে আসেনি ।

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আজ শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে একটি রিসোর্টে মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেকটি জায়গায় আমাদের বিশেষজ্ঞ দল, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, আর্মি ও পুলিশের বিশেষজ্ঞ টিম পর্যবেক্ষণ করেছিল। কোন বিস্ফোরণে এখনো পর্যন্ত বিস্ফোরকের সন্ধান পায়নি। এখনো আমাদের অনুসন্ধান চলছে। আমাদের ধারণা  গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সিদ্দিকবাজারের ঘটনাটি এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগ কোনো চক্রান্তে ভয় পায় না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আগামী নির্বাচন হবে এবছরের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের প্রথমে। আওয়ামী লীগ কখনোই কোনো চক্রান্তে বিশ্বাস করে না। জনগণের ভোট এবং জনগণের সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ চলে।  কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা চক্রান্তকে আমরা ভয় পাই না। এগুলো মোকাবিলা করেই আমরা চলছি।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইলেকশনের সময় তাদের রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা করবে এটাই স্বাভাবিক। সমস্ত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিরোধীদল বলুন কিংবা ভিন্ন পথের রাজনীতি বলুন সবাই যার যার কৌশল অবলম্বন করবে। কিন্তু কেউ যদি কোনোরকম বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে, ভাঙচুরের চেষ্টা করে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে, ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করে তাহলে আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। তারা তাদের কাজ করবেন।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মনিরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিজানুর রহমান সিনহা প্রমুখ। দিনভর অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারও মানুষ। আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে মেলনমেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠানস্থল।