বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে নিম্ন আদালত খোলা
সারা দেশের নিম্ন আদালত খুলছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে। ভার্চুয়ালি ও সশরীরে উপস্থিত থেকে বিচারকাজ পরিচালনা করা যাবে। আজ বুধবার প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছেন।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে ২২ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত শারীরিক উপস্থিতি বাদ রেখে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে দেশের অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহ কর্তৃক ‘তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ২০২০’ এবং এই কোর্ট কর্তৃক জারিকৃত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি দরখাস্ত/আপিল/রিভিশন/বিবিধ মামলাসহ সব শুনানি গ্রহণও (সাক্ষ্যগ্রহণ বাদে) নিষ্পত্তি করবেন।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে মামলা দায়ের করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণপূর্বক সাকসেশন ও অভিভাবকত্ব নির্ধারণবিষয়ক মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে।
‘ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিগণ অধস্তন ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ আবেদন দাখিল করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে শুনানি কার্যক্রমের পদ্ধতি ও সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে হবে যাতে আদালত প্রাঙ্গণে এবং আদালত ভবনে জনসমাগম না ঘটে। আত্মসমর্পণ দরখাস্ত শারীরিক উপস্থিতিতে শুনানির সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তার পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ছাড়া অন্য কোনো আইনজীবী এজলাস কক্ষে অবস্থান করবেন না। একটি আত্মসমর্পণের শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এজলাসকক্ষ ত্যাগ করার পর বিচারক/ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তী আত্মসমর্পণের দরখাস্ত শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন।’
সার্কুলারে বলা হয়েছে, অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে জামিন শুনানিকালে এবং মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে হাজতি আসামিদের কারাগার থেকে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালতকক্ষে হাজির না করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। হাজতি আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে কারাগারে ভিডিও কনফারেন্সের লিংক প্রেরণ করে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ভার্চুয়ালি দেখে রিমান্ড শুনানি করতে পারবেন।
সার্কুলারে বলা হয়, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিবি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।