ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, বিএনপির ৩ নেতা পুলিশ হেফাজতে

Looks like you've blocked notifications!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি-ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। ছবি : এনটিভি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আগামীকাল শনিবার দুপুরে। একই স্থানে প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশের ডাক দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগও। এতে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে শহরে।

শহরের ফুলবাড়ীয়া কনভেনশন সেন্টারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে দুপুর ২টায় এই সমাবেশ আহ্বান করে জেলা বিএনপি। সমাবেশের কয়েক ঘণ্টা আগেই জেলার শীর্ষ তিন নেতাকে আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

গত সপ্তাহে জেলা বিএনপি এই সমাবেশ আহ্বান করে। সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়াসহ কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা উপস্থিত থাকার কথা।

জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, তাদের সমাবেশের জন্য শহরের তিনটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে পৌর মুক্ত মঞ্চ, টেংকেরপাড় ও ফুলবাড়ীয়া কনভেনশন সেন্টার এলাকাকে নির্ধারণ করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলবাড়ীয়া কনভেনশন সেন্টার এলাকায় সমাবেশ করার মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়। এর পর পরই তারা প্রচার প্রচারণা চালায়।

এদিকে জেলা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষে একই দিনে, একই স্থানে দুপুর ৩টায় ছাত্র সমাবেশের ডাক দেয়। এ নিয়ে শহরে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। জেলা বিএনপি তাদের সমাবেশ সফল করতে বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ঘটনায় শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জিল্লুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা সেখানে ছাত্র সমাবেশ আহ্বান করেছি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল ইসলাম জানান, একই দিনে, একই স্থানে উভয় পক্ষ সমাবেশ ডাকায় জেলা প্রশাসন কাউকে কোনো অনুমতি দেয়নি। নেতাকর্মীদের আটক ও গ্রেপ্তার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা জানাচ্ছি। শহরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন জানান, বিএনপির তিন নেতাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগেও জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশ আহ্বান করা হয়। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে সে সময় সমাবেশ করতে পারেনি তারা। ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এই সমাবেশ আহ্বান করে তারা।