ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসার জলাশয়ে বিষ ঢেলে মাছ নিধনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজেশ্বরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রিয়াজুল উলুম আত-তাহফিজ ইসলামিয়া মাদ্রাসার দুটি জলাশয়ে বিষ ঢেলে মাছ নিধনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। ছবি : এনটিভি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজেশ্বরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রিয়াজুল উলুম আত-তাহফিজ ইসলামিয়া মাদ্রাসার দুটি জলাশয়ে বিষ ঢেলে মাছ নিধনের প্রতিবাদে ও দায়ীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বর্জবিলের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন এই কর্মসূচি পালন করে। এতে বক্তব্য দেন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আসাদ উল্লাহ খন্দকার, সারোয়ার হোসেন, হাফেজ রহমত উল্লাহ, শেখ রাসেল প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, রামরাইল ইউনিয়নের বর্জবিলে রিয়াজুল উলুম আত-তাহফিজ ইসলামিয়া মাদ্রাসার বৃহৎ আকারের দুটি জলাশয়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ হয়ে আসছিল। যার বাৎসরিক আয়ে মাদ্রাসার চার থেকে পাঁচ মাসের খরচ চালানো হতো। তবে জলাশয়ের পাশে থাকা সরকারি খালের লিজ গ্রহীতারা নানাভাবে শত্রুতা করে আসছিল। এরই জের ধরে এক বছর আগে বিজেশ্বর গ্রামের মৃত মলফত আলীর ছেলে রুক্কু, মোহাম্মদপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে নুরু মিয়া, একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে লিয়াকত মিয়া, কালা গাজীর ছেলে মির্জা আলী আমাদের জলাশয়ে বিষ ঢেলে দিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলে। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে শালিসের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় অভিযুক্তরা তাদের কর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। কিন্তু তারা বিষয়টির প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আবারও চলতি বছরের ২২ আগস্ট ভোরে জলাশয় দুটিতে বিষ ঢেলে দেয়। এ সময় প্রধান স্বাক্ষী সারোয়ার তাদেরকে জলাশয়ের পাশে দেখতে পায়। পরে সে জলাশয়ের কাছে গিয়ে মাছগুলোকে মরে ভেসে উঠতে দেখে। বিষ ঢেলে দেওয়ায় রুই, বোয়াল, টেংরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন হয়। বিষ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে রুক্কুসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা উল্টো নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এখন মাদ্রাসার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হবে।

বিষ প্রয়োগের ঘটনায় বিজেশ্বর গ্রামের রুক্কু, মোহাম্মদপুর গ্রামের নুরু মিয়া, লিয়াকত মিয়া, মির্জা আলীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া লোকজন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, জলাশয়ে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।