ভারতীয় সিনেমা আমদানি হলে কোনো ক্ষতি হবে না : তথ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কথা বলছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি : তথ্য মন্ত্রণালয়

ভারতীয় সিনেমা আমদানি করা হলে দেশের কোনো ক্ষতি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, বছরে ১০টি ভারতীয় সিনেমা আমদানি করা হলে আমাদের সিনেমার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং, মানুষ হলমুখী হবে, অনেক হল খুলবে। তখন আমাদের ছবির জন্য আরও বড় জায়গা তৈরি হবে।’

আজ বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দেশে চলচ্চিত্র শিল্প ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত বছর ৭০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, গড় হিসেবে প্রতি সপ্তাহে একটির বেশি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ঈদ উপলক্ষে আটটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। একটি ছবি শতাধিক সিনেমা হলে একযোগে মুক্তি পেয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতীয় সিনেমা আমদানির বিষয়ে প্রদর্শক সমিতি বহুদিন ধরে বলে আসছে। তবে, চলচ্চিত্র অঙ্গনের সমস্ত সমিতি বিশেষ করে শিল্পী সমিতি একমত না হওয়ায় আমি পদক্ষেপ নিতে রাজি হয়নি। অবশেষে, সবাই একমত হয়েছে। এ জন্য আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন।’

পাকিস্তানের কথা টেনে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশটিতে হলের সংখ্যা কমতে কমতে ৩০ থেকে ৩৫টিতে নেমে এসেছিল। তখন তারা ভারতীয় সিনেমা আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। এরপর হলের সংখ্যা বেড়ে ১২শ’ হয়েছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানের ছবির মানও অনেক উন্নত হয়েছে।’

দেশে সিনেপ্লেক্সের সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারি না হলে প্রধানমন্ত্রীর এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের অনেক সিনেমা হল চালু করা যেত। তবে, সিনেপ্লেক্স বাড়ছে। নতুন নতুন সিনেপ্লেক্স হচ্ছে। স্টার সিনেপ্লেক্স দেশে ৫০টি সিনেপ্লেক্স করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে।’

সভায় সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরু, শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, চিত্র গ্রাহক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু বক্তব্য দেন।