ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ভারত থেকে সাইকেলে চড়ে ঢাকায়

Looks like you've blocked notifications!

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কলকাতা থেকে বাইসাইকেলে চড়ে ঢাকায় এসেছেন একদল ভারতীয় নাগরিক। আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হুগলীর চন্দননগর থেকে সাইকেলে করে রওনা দেন ১৫ জনের দলটি। গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেন তারা।

দলের সদস্যরা জানান, পশ্চিমবঙ্গের ‘হান্ড্রেড মাইলস’ নামে একটি সংগঠনের আয়োজনে তারা সাইকেল চালিয়ে ঢাকায় এসেছেন। ২০১২ সাল থেকে তারা নিয়মিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকা এসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। করোনার কারণে দুই বছর পর বাংলাদেশে এসেছেন তারা। এটি তাদের নবম যাত্রা।

কলকাতা-সোধপুর-বারাসাত-বনগাঁ-পেট্রাপোল স্থলসীমান্ত পেরিয়ে এই সাইকেল র‌্যালিটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। পরে বেনাপোল-নড়াইল-ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছান তারা।

১৯ ফেব্রুয়ারি এসেই ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। আজ ২১ ফেব্রুয়ারি খালি পায়ে হেঁটে শহীদ মিনারে এসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভাষাশহীদদের প্রতি। আজই ভারতের উদ্দেশে রওনা হবেন বলেও তারা জানিয়েছেন। ১৫ জনের এই প্রতিনিধি দলে চিকিৎসক, শ্রমিক, কলেজ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সরকারি চাকরিজীবীরাও রয়েছেন।

দলের সদস্য গৌতম মৃধা বলেন, আমাদের স্লোগান হলো ‘বাংলা কখনও হয় না ভাগ, বাংলা ভাষায় আমরা এক’। এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করেই আমাদের এই যাত্রা। এপার-ওপার যে নামেই ডাকি, ভাষার বাঁধনে বাঁধা দুই দেশ। সেই বাঁধন থেকেই আমরা বাংলাদেশে আসি ভাষা দিবসে। আগামীতেও আসবো।

দলের সদস্য তপন কুমার রায় (৭০) বলেন, ‘এর আগেও আমি তিন বার এসেছি। এদেশে আসতে ভালো লাগে। এদেশের মানুষ অনেক আন্তরিক। দুই দেশের ভাষা-সংস্কৃতিতে আমরা এক। ভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকে আমাদের এই সাইকেল র‌্যালি।’

‘আমাদের দুই বাংলার মধ্যে মেলবন্ধন রয়েছে। কাঁটাতার ছাড়া আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আমাদের ভাষা এক, খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, আচার-আচরণ এক। কাঁটাতারের ব্যবধান মুছে দুই বাংলা এক সাথে এগিয়ে চলুক এবং বাংলা ভাষা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষাগুলোর মধ্যে জীবন্ত থাকুক, সেই প্রত্যাশা আমাদের।’