ভাসানচরের পথে আরও ১৬৮ রোহিঙ্গা পরিবার
সপ্তম দফায় কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামে গেছে আরও ১৬৮ পরিবারের ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা। আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ৪২ পরিবারের ১২২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে চারটি বাস ছেড়ে যায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এর আগে আজ দুপুর ১২টায় সাতটি বাসে ১২৬ পরিবারের ২৫৭ জন রোহিঙ্গা ভসানচরের উদ্দেশে যাত্রা করে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে জমায়েত করা হয়। এটি হচ্ছে সপ্তম দফায় ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া।
এ বিষয়ে কোনো দায়িত্বশীল সংস্থা সাংবাদিকদের কোনো ধরনের তথ্য না দিলেও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এবার উখিয়াসহ বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে স্বেচ্ছায় রাজি হওয়া দেড় হাজারের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা করা হয়েছে। বিকেলে চারটি বাসে করে ১২২ জন রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। এসব রোহিঙ্গার নিরাপত্তার দায়িত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর বিশেষ জাহাজে করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে এসব রোহিঙ্গাকে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামছুদদৌজা জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় যারা ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সপ্তম পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি গণমাধ্যমে কোনো তথ্য দেননি।
এদিকে, আরআরআরসি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ১৮ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার-১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানান, উখিয়াসহ বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে স্বেচ্ছায় রাজি হওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা অনুযায়ী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আজ দুই দফায় ১৬৮ পরিবারের ৩৭৯ জন রোহিঙ্গাকে ১১টি বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার তিন হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮ জন এবং পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। গত বছরের মে মাসে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে প্রথমে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।