ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদের জামিন স্থগিত
ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদের জামিন ৮ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ৮ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১৭ জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দের মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন ৬ মাসের জন্য মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল ভূমি মন্ত্রণালয়ের তখনকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করে দুদক। কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট তার শ্বশুরসহ কয়েকজনের নামে বরাদ্দ করেন। শ্বশুর ও স্বজনদের নামে অভিজাত এলাকা গুলশানে সরকারি ১০ কাঠা জমি ক্রয় দেখিয়ে নিজেই বসবাস করার অভিযোগে ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল গুলশান থানায় কুতুবের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় কুতুবের সঙ্গে নাজমুল ইসলাম সাঈদকেও আসামি করা হয়।
দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে, কুতুব ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থেকে প্রভাব বিস্তার করে কৌশলে এক গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে রাজউকের সম্পত্তি অবমুক্ত করে নাজমুল ইসলাম সাইদকে জমির ভুয়া আমমোক্তার সাজিয়ে এবং শ্বশুর আব্দুল জলিল মৃধাসহ আরও দুজনকে ক্রেতা সাজিয়ে নিজেই ১০ কাঠা জমি আত্মসাৎ করেন।