ভেঙে ভেঙে গ্রামের পথে মানুষ, সড়কে যানজট
টানা ২২ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তায় নেমেছে গণপরিবহণ। কিন্তু এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাতায়াতের গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। তবে দূরপাল্লার যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে লোকাল বাস ধরে ছুটছেন গন্তব্যে। রাজধানী থেকে গ্রামের পথে এসব মানুষের চাপে বেড়েছে পরিবহণের সংখ্যা। আর এসব গণপরিবহণের চাপে সাভারে বিভিন্ন পয়েন্টে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের।
সাভারের বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই ঈদের কেনাকাটার জন্য ঘর থেকে বের হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। সীমিত পরিসরে লোকাল বাসগুলোতে যাত্রী হওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। উল্টো দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়ার কারণে ক্ষোভ জানাচ্ছেন যাত্রীরা।
ট্রাফিক পুলিশ বলেছে, গণপরিবহণ চলাচলের পাশাপাশি সড়ক-মহাসড়কে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটের পরিচিত দৃশ্য ফিরে এসেছে।
দূরপাল্লার যাত্রীরা বলেছেন, ঢাকা থেকে লোকাল বাসে চেপে তাঁরা জেলার সীমানা এলাকায় যাচ্ছেন। সেখান থেকে বাস পাল্টে আবার নতুন বাসে উঠছেন। এভাবেই ভেঙে ভেঙে তাঁরা গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন।
যাত্রীরা বলছেন, মোট আসনের ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী বহন না করার কথা থাকলেও তা মানছেন না পরিবহণ শ্রমিকরা। উল্টো বিদ্যমান ভাড়ার ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।
সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, বাসযাত্রার শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করা, মোটরযান চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা থাকলেও তা মানছেন না কেউই।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের কারণে গত ১৪ এপ্রিল থেকে বন্ধ হয়ে যায় গণপরিবহন। টানা তৃতীয় দফা লকডাউন শেষে অর্ধেক যাত্রী এবং বর্ধিত ভাড়ায় গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শুধুমাত্র জেলার গাড়ি জেলাতে চলাচল করতে পারবে।