ভোলায় নিষিদ্ধজালে ইলিশ ধরা ও বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে

Looks like you've blocked notifications!
এভাবেই ভোলার মেঘনা পাড়ের মাছঘাটগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ছবি : এনটিভি

ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ হলেও তা মানছে না কেউ। প্রকাশ্যেই হাঁকডাক দিয়ে মাছ বিক্রি হচ্ছে। জেলে নৌকার সমাগমে জমজমাট নদীপাড়ের মাছঘাটগুলো। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মাছ ধরা ও বিক্রি করা হচ্ছে। তবে মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, একার পক্ষে সব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা, শিবপুর, কাচিয়া ও রাজাপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মাছঘাট ঘুরে দেখা যায়, সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। অভয়াশ্রম হিসেবে মেঘনা নদীকে সরকার ঘোষণা করেছে, তার চিহ্ন দেখা যায়নি এসব মাছ ঘাটগুলোতে। শত শত জেলে নৌকা মাছ ধরে নিয়ে ভিড়ছে এসব ঘাটে। ইলিশা ফেরিঘাটের দুই পাশে দুটি ঘাট। জেলে নৌকায় বোঝাই করে মাছ আসছে আর প্রকাশ্যে হাঁকডাক দিয়েই তা বিক্রি করা হচ্ছে। একই সাথে বরফ দিয়ে বিশাল বিশাল ঝুড়ি বোঝাই করা হচ্ছে। সরেজমিনে উপস্থিত হতেই ঝুড়ি বোঝাই একটি ট্রলার দ্রুত ঘাট ত্যাগ করে রাজাপুর ইউনিয়নের জোড়খাল মাছ ঘাটে চলে যায়। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা রাজাপুর এলাকার জোড়খাল মাছ ঘাটে। শত শত নৌকা নদী থেকে ইলিশ ও পোনাসহ অন্যসব মাছ নিয়ে ঘাটে আসছে। আড়ৎদাররা তা হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি করছে। একই দৃশ্য এখানকার মাছঘাটগুলোতে।

জেলে নৌকা বোঝাই করে মাছ আসছে আর প্রকাশ্যে হাঁকডাক দিয়েই তা বিক্রি করা হচ্ছে। ছবি : এনটিভি

এসময় বেশ কয়েকজন জেলের সঙ্গে (নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ করা হয়নি) আলাপ করলে তারা বলেন, মাছ ধরা নিষিদ্ধে সময় দিয়েছে সরকার। তবে এখন ইলিশ ও পোনা মাছ বেশি ধরা পড়ছে জালে। তাই আমরা ধরছি। ধার দেনা অনেক বেশি। জোয়ারের সময় নদীতে জাল ফেলে চলে আসি আবার গিয়ে জাল তুলে নিয়ে আসি। এখন জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। দামও ভালো পাচ্ছি। তবে মাঝে মাঝে প্রশাসন দৌড়ানি দিলে সমস্যা হয়। তবে শুনেছি প্রশাসনের নামে টাকা নিচ্ছে কিছু মানুষ। তাদেরকে চিনি না। তবে আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়।

এ রিপোর্ট লেখার সময় বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৭টার দিকেও ইলিশা মাছ ঘাট থেকে দুটি ট্রলার বোঝাই করে ইলিশ মাছ নিতে দেখা যায়।

আড়তৎদাররা বলেন, ভাই এখন মাছ বেশি ধরা পড়ছে। তবে কারেন্টজাল বন্ধ করতে পারলে আর সমস্যা হবে না। এখন ইলিশের পাশাপাশি পোনা মাছও ধরা পরছে। তাই জেলেরা নদীতে নামছে মাছ ধরতে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি চরফ্যাশনে এসেছি। ইলিশাতে একটা নৌ থানা রয়েছে। নৌ পুলিশ থানার পাশেই বেশ কয়েকটি মাছ ঘাট। এসব বিষয় তাদের দেখা উচিত। তারা যদি না দেখে আমাদের একার পক্ষে কি সবকিছু দেখা সম্ভব। তার পরেও আমরা দেখবো।