ভৈরবে অটোচালক হত্যায় আদালতে স্বীকারোক্তি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অটোচালক স্বপন হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের হাতে আটক রিফাত নামের এক আসামি। বৃহস্পতিবার রাতে রিফাতকে শহরের পঞ্চবটী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন।
গতকাল শুক্রবার রিফাতকে কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজির করলে তিনি ১৪৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত সেটি রেকর্ড করে তাকে জেল-হাজতে পাঠান।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা (পিপিএম) জানান, খুনের ঘটনার ছয়দিনের মধ্যে অটোচালক স্বপন হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছে পুলিশ।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার রাতে রিফাত (১৯) ও আকাশ (২০) নামের দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত ওই হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে জানান। তবে রিফাতের অপর এক সহযোগী পলাতক আছেন। আকাশ এই ঘটনায় জড়িত নয় বলে জানা যায়।
রিফাতের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, গত রোববার ভোরে অটোচালক স্বপন তার বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসেন। এ সময় অপরাধী রিফাত ও তার এক সহযোগী অটোরিকশাটি ভাড়া করে উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের মিরারচর এলাকায় গিয়ে অটোরিকশাটি ছিনতাই করতে চালক স্বপনের গলায় ছুরিকাঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় আশপাশে লোকজন দেখে তারা পালিয়ে যান। পলাতক অপর খুনিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে। পলাতক ওই আসামিই মূলত অটোচালক স্বপনকে ছুরিকাঘাত করে।
গত রোববার ভোরে অটোচালক স্বপনকে খুন করে লাশ ফেলে রাখে খুনিরা। পরে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ তার লাশ ও অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। ঘটনার পরের দিন সোমবার নিহত স্বপনের স্ত্রী আনারকলি বেগম বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। নিহত স্বপন উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শিবপুরকান্দা এলাকার নায়েব আলীর ছেলে।