ভোলায় ৩৪ জেলে আটক, জেল-জরিমানা

Looks like you've blocked notifications!
ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। ছবি : এনটিভি

ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ভোলা সদর এবং চরফ্যাশনে পৃথক অভিযানে ৩৪ জেলেকে আট করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে মৎস্য বিভাগের দুটি দল মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে তাদের আটক করে।
আটকদের মধ্যে ভোলা সদরে ২৯ জন এবং চরফ্যাশনে পাঁচজন রয়েছেন। এদেরমধ্যে ১৩ জনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা ও ১৬ জনকে ২০ দিন করে জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহ আহমেদ। বাকি পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানের সময় জব্দ করা হয়েছে ২০ কেজি ইলিশ ও ১০ হাজার মিটার কারেন্টজাল। অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ এবং কারেন্টজাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে জেলায় সর্বমোট ৯৫ জনকে আটক করা হলো।

ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে পৃথক অভিযানে ৩৪ জেলেকে আট করা হয়েছে। ছবি : এনটিভি

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে পৃথক দুটি দল মেঘনায় ও তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালায়। এ সময় মেঘনার কাঠির মাথা, ইলিশা ও তুলাতলী থেকে ২৯ জন এবং চরফ্যাশনের তেঁতুলিয়া থেকে পাঁচ জেলেকে আটক করা হয়। তাদের জেল-জরিমানার প্রস্তুতি চলছে। ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশের অভয়াশ্রমে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ।