মক্কা-মদিনার মতোই গোপালগঞ্জে এলে শান্তি পাই : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি মিলনায়তনে আজ শনিবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত দুইদিনব্যাপী সাহিত্যমেলা ২০২২ এর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ছবি : এনটিভি

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ধর্মীয় পবিত্রস্থান মক্কা-মদিনায় গেলে আমরা যেমন আত্মিক শান্তি লাভ করি, তেমনি গোপালগঞ্জে এলেও আমি সেরকম শান্তির সুবাতাস লাভ করি। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, অসাম্প্রদায়িক বাংলা গড়ার কারিগর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পবিত্র জন্মভূমি এ জনপদ।

প্রতিমন্ত্রী আজ শনিবার গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলা একাডেমি আয়োজিত দুইদিনব্যাপী সাহিত্যমেলা ২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির তীর্থস্থান ও পুণ্যভূমিখ্যাত গোপালগঞ্জ সাহিত্যের নানা উপকরণে সমৃদ্ধ একটি জনপদ। ধর্মীয় পবিত্রস্থান মক্কা-মদিনায় গেলে আমরা যেমন আত্মিক শান্তি লাভ করি, তেমনি গোপালগঞ্জে এলেও আমি সেরকম শান্তির সুবাতাস লাভ করি। সেই ঐতিহ্যবাহী গোপালগঞ্জ জেলা থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘জেলা সাহিত্যমেলা ২০২২’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী অমর একুশে বইমেলার পূর্বে দেশের ৬৪টি জেলায় জেলা সাহিত্যমেলার আয়োজন শেষ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জেলা পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

ক্ষুদে সাহিত্যিক ও শিক্ষার্থীদের সাহিত্যমেলায় সম্পৃক্ত করার আহবান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্য থেকে আগামীদিনের প্রখ্যাত লেখক, কবি-সাহিত্যিক বের হয়ে আসবে। ক্ষুদে লেখক, সাহিত্যিকদের সাহিত্যচর্চায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য সাহিত্যমেলায় আলাদা সেশন বা স্লট বরাদ্দ রাখতে হবে এবং তাদের মধ্য থেকে সেরাদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কে এম খালিদ বলেন, লেখালেখি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে এমন লেখকের সংখ্যা হাতেগোনা। প্রাণের খোরাক জোগাতেই বেশিরভাগ মানুষ লিখে থাকেন। দরিদ্রের পর্ণকুটিরে যেমন তার স্থান, তেমনি ধনীদের বিলাসবহুল প্রাসাদেও তার অবাধ গতি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় কলকাতা ছিল বাংলা সাহিত্যচর্চার কেন্দ্রবিন্দু। ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ও পরবর্তীতে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক নূরুন্নাহার খানম।