মাগুরায় বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জন গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা এবং সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মহব্বত আলীসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা এবং সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মহব্বত আলীসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের  দ্রুত বিচার আইনের এক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমউল্লাহ আজ শুক্রবার দুপুর ৩টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের মনিরামপুরে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত এবং ১১টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ  দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করে।  

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে গত বুধবার একটি জমি মাপাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। ওই ঘটনার রেশ ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মহব্বত গ্রুপের সমর্থক  আতর আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে বর্তমান চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজার লোকজন। আতর আলীকে কুপিয়ে হত্যার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় উত্তেজিত জনতা প্রতিপক্ষের ১১টি বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। চার ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিক ভাবে শত্রুজিৎপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে ১৩ জনকে এজাহার নামীয় এবং শতাধিক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা রুজু করেন। এই মামলায় বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ আটক ব্যক্তিরা হচ্ছেন মনিরামপুর গ্রামের জাহিদ হাসান, মহিদুল্লাহ ফকির, বড়জোকা গ্রামের মুরাদ মোল্ল্যা, ডহরসিংড়া গ্রামের আশরাফুল হক লাভলু, বেরইলপলিতা গ্রামের ফাতুয়ার রহমান, রুপাটি গ্রামের আমিরুল ইসলাম, শ্রীপুর থানার নাকোল গ্রামের ফারুক মোল্ল্যা, তরিকুল ইসলাম ও আবু হুরাইরা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।