মাছ নিধনের মামলা করায় হত্যার হুমকি, সংবাদ সম্মেলন

Looks like you've blocked notifications!
নেত্রকোনা জেলা শহরের নাগড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করছেন মামলার বাদী শাহনাজ বেগম ও ফিসারির মালিক নাজমুল করিম নাঈম। ছবি : এনটিভি

নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়নের কান্দি গ্রামে নাজমুল করিম নাঈমের পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগে মামলা করায় বাদী ও পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে আসামি পক্ষ।

মামলার বাদী শাহনাজ বেগম ও ফিসারির মালিক নাজমুল করিম নাঈম জেলা শহরের নাগড়া এলাকায় গতকাল শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল করিম নাঈম লিখিত ব্যক্তব্যে জানান, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপাড়া শেষ করে চাকরি না করে উদ্যোক্তা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৫ সালে ড্রিম অ্যাগ্রো নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান করেন। ব্যবসা শুরুর পর থেকেই তার ফিসারির মাছ চুরি হতে থাকে। স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী মহল তাকে ও তার পরিবারকে নানা ভাবে ব্ল্যাকমেইল করে যাচ্ছিল। কয়েক বছরে সন্ত্রাসীরা তার পুকুর থেকে কয়েক কোটি টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে চুরি নয়, প্রকাশ্যে মাছ ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এই চুরির সঙ্গে আশপাশের পুকুরমালিকরা জড়িত। একপর্যায়ে পুলিশ স্থানীয় জেলে এবং পুকুর মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে চোরের উপদ্রব কিছুটা কমে। ফের গত বছরের ২১ জুলাই ভোরে পুকুরে জাল ফেলে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। আবার গত ১ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে ভোর পর্যন্ত পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলে। চোরের ভয়ে নাজমুল ভীত হয়ে কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) পরামর্শে তারই বোন শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে কান্দি গ্রামের মো. সাদেকুর রহমান, ফচিকা গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে সাত জনের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আসামি ও তাদের লোকজন নানা ভয়ভীতি ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে নতুন করে একটি জিডি করা হয়েছে বলে জানান শাহনাজ বেগম।

এ বিষয়ে কাইলাটী ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক বলেন, ‘ওদের পুকুরে মাছ মারা গেছে বিষয়টি দেখেছি। তবে কীভাবে মারা গেছে, তা জানতে বা বুঝতে পারিনি। এ নিয়ে মামলা হয়েছে। দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। এর মধ্যে তাদের জামিনও হয়ে গেছে শুনেছি।’

মডেল থানার ওসি খন্দকার সাকের আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।