মাদারীপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ, ৬ শয্যার বিপরীতে ৪৫ রোগী

Looks like you've blocked notifications!
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপে পা ফেলার জায়গা নেই ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দায়। ছবি : এনটিভি

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগীদের জন্য শয্যা আছে ছয়টি, তার বিপরীতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে ৪৫ জন। শয্যা না পেয়ে নোংরা মেঝেতেই মাদুর পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। এতে ডায়রিয়া আরও প্রকট হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গেল ১০ দিনে ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছে ২৬১ জন রোগী। এর মধ্যে ভর্তি হয়েছে ১৯৮ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্করা। এদিকে হাসপাতালের পরিবেশ নোংরা ও পর্যাপ্ত আসন না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে অনেকেই।

সাধারণ রোগীদের দাবি দ্রুত আসন বাড়ানোর ও পরিবেশ পরিষ্কার রাখার। আজ দুপুরে সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, পা ফেলার জায়গা নেই ওয়ার্ড ও বারান্দায়। আসন না থাকায় ফ্লোরে শুয়ে আছে রোগীরা। বাথরুম ও পাশে থাকা একটি ময়লার ভাগার থেকে ছড়াচ্ছে গন্ধ। এ ছাড়া ওয়ার্ডের বারান্দা ও মেঝে অপরিষ্কার থাকায় মাছি উড়ছে। ময়লা ফেলার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঝুড়ি না থাকায় ভাগাভাগি করেই রোগীর স্বজনরা ময়লা ফেলছে ঝুড়িতে।

শিশুর ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে আসা মা মায়া বেগম বলেন, এখানকার যে পরিবেশ, এই পরিবেশে আমাদের শিশু ভালো হওয়ার বদলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে। এখানে তো ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখছি না।

চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল বারেক মোল্লা বলেন, এখানে রোগীদের যে অবস্থা, অন্তত বেড লাগে দেড়শ। এখানে বেড আছে মাত্র ছয়টা। এই পরিবেশ চিকিৎসার জন্য উপযোগী না। সরকারের উচিত নতুন ভবনের ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি দ্রুত চালু করা।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) বলেন, আমাদের সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ার জন্য ছয়টি বেড থাকলেও ১০টি বেডের ব্যবস্থা করেছি। তবে আশার বিষয় হচ্ছে, ডায়রিয়ার রোগীদের এক দিন পর পর রিলিজ করে দেওয়া যায়। ফলে রোগীদের চাপ থাকলেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে। রোগী এলে তো আমরা ফেরৎ দিতে পারি না। অনেকের কষ্ট হলেও ফ্লোরে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।