মাদারীপুরে নিহত ১৯ জনের ৯ জনই গোপালগঞ্জের

Looks like you've blocked notifications!
শিবচরে পদ্মা সেতুর ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত সুরভি আলম সুইটি ও আফসানা মিমি। ছবি : এনটিভি

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৯ জনের ৯ জনই গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এর মধ্যে আফসানা মিমি ও সুরভি আলম সুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। আফসানা মিমি ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। স্নাতকোত্তরের সার্টিফিকেট তুলতে ঢাকা হয়ে ময়মনসিংহে যাচ্ছিলেন মিমি। মা ও বোন বাসে তুলে বিদায় দেন মিমিকে। স্বপ্ন ও পরিশ্রমের সেই সনদ আর তোলা হলো না মিমির। লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়িতে। অপরদিকে সুরভী ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়তেন।  

গোপালগঞ্জ থেকে বাবা মাসুদ আলমের সঙ্গে ঢাকায় যাচ্ছিলেন সুরভী। দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বাবা বেঁচে গেলেও না ফেরার দেশে চলে গেলেন সুরভী।

আফসানা মিমি গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়ার হিরাবাড়ি রোডের  প্রয়াত বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামালের বড় মেয়ে। আর শহরের পাঁচুড়িয়া এলাকার সামচুল হক রোডের বাসায় থাকতেন সুরভীর বাবা মাসুদ আলম।  

এত মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পুরো গোপালগঞ্জ। এভাবে মুহূর্তেই এতগুলো মানুষকে হারিয়ে শোকে নির্বাক, পাথর স্বজনরা। এলাকাবাসীর চোখেও জল। এমন মৃত্যু মানতে পারছেন না কিছুতেই।

অপর নিহতরা হলেন- পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অনাদীরঞ্জন মজুমদার (৫৩), বাসের সুপারভাইজার মানিকদাহ গ্রামের মিজানুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মিনহাজুর রহমান বিশ্বাস (২৫) , গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বনগ্রামের সামসুদ্দিন শেখের ছেলে মোস্তাক শেখ(৪০), ছুটফা গ্রামের নওশের আলী শেখের ছেলে সজিব শেখ (২৮), গোপীনাথপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে হেদায়েত মিয়া বাহার (৪২), মুকসুদপুরের আদমপুর গ্রামের আনজু খানের ছেলে মাসুদ খান (৩০) ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামের সামছুল হক শেখের ছেলে এনজিও কর্মকর্তা কবির হোসেন (৫০)। কবির হোসেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাকির হোসেনের ছোট ভাই।  

রোববার সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহণের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায় ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। 

ইমাদ পরিবহণের ম্যানেজার মো. বাসু মিয়া জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহণের বাসটিতে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৪ জন যাত্রী ওঠেন।