মানবতাবিরোধী অপরাধ : খুলনার ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!
খুলনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ৬ আসামি। ছবি : সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ছয় আসামি হলেন—আমজাদ হোসেন হাওলাদার, সহর আলী সরদার, আতিয়ার রহমান, মোতাছিম বিল্লাহ, কামাল উদ্দিন গোলদার ও নজরুল ইসলাম। এর মধ্যে নজরুল ইসলাম পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার সময় পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আজ সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ২০৩ পৃষ্ঠার এ রায় পড়া শুরু হয়। রায়ের প্রথম অংশ পাঠ করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। দ্বিতীয় অংশ পাঠ করেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার। তিনি রায় পড়ার আগে বলেন, ‘কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধীর বর্তমান বয়স বিবেচনায় বিচার হচ্ছে না; বিচার হচ্ছে ৭১ সালে তাঁরা যেসব অপরাধ করেছেন, সে অপরাধের বিবেচনায়। আজ যাঁদের দেখছেন বয়স ৮০ বছরের ওপরে, তখন তাঁদের বয়স ছিল ৩০ বছর।

আদালতে রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।

আসামিদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ

১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ চার থেকে পাঁচ জন রাজাকার বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মণ্ডলকে অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা করে।

দ্বিতীয় অভিযোগ

১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশী বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

 তৃতীয় অভিযোগ

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের চার জনকে হত্যা, চার থেকে ছয়টি বাড়ির মালামাল লুট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

চতুর্থ অভিযোগ

একাত্তরের ২৯ নভেম্বরে ওই আসামিরা বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মণ্ডল ও আব্দুল আজিজকে গুলি করে হত্যা করে।