মানিকগঞ্জে মা ও দুই মেয়ে হত্যার অভিযোগপত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দা‌খিল

Looks like you've blocked notifications!
মানিকগঞ্জের ঘিওরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে গলা কেটে হত্যা মামলার আসামি আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি : এনটিভি

মানিকগঞ্জের ঘিওরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে গলা কেটে হত্যা মামলার অভিযোগপত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে দা‌খিল করেছে পুলিশ। আজ দুপুরের দিকে মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর আগে রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুন নূর আসামি আসাদুজ্জামান রুবেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।

ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেল (৪২) গত রোববার ভোর রাতে ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী ও দুই কন্যাকে প্রথমে দা দিয়ে আঘাত করেন। এরপর বালিশচাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৫), বড় মেয়ে মৃত লাজলী আক্তার ছোয়া (১৬) ও ছোট মেয়ে মৃত ইহামনি কথাকে (১২) জবাই করে হত্যা করেন। 

মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আজ দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘিওর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। ঘটনাস্থল হতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র (ধারালো দা) ও রক্তমাখা জামা-কাপড় জব্দ করার পাশাপাশি তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে হত্যার সাথে জড়িত আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেলকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ঘিওর থানায় লাভলীর বাবা সাইজুদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেল (৪০) এর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক রেকর্ড করানো হয় এবং ঘটনায় ১২জন সাক্ষীদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করাসহ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল হতে মামলার ঘটনায় মৃত লাভলী আক্তার (৩৯), মৃত লাজলী আক্তার ছোয়া (১৬) এবং মৃত ইহামনি কথা (১২) এর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়।

তদন্তে জানা যায়, আসামি আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেল (৪০) নানান ধরনের ঋণে জর্জরিত ছিলেন। স্ত্রী কন্যাদের নিয়ে সংসার চালানো ও ঋণ পরিশোধের চিন্তায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটান। মামলা রুজুর পর ঘিওর থানা উপপুলিশ পরিদর্শক বেলাল হোসেন মামলাটি তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আজ বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে ন্যায়বিচারের স্বার্থে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।