মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আমাদের জনগণ গ্রহণ করেনি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব) এবং প্রতিষ্ঠানটির সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করেনি।’
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ফোনে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমরা আহ্বান জানিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও আমাদের এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।’
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে জানাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতির সফরের সময়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে সাংবাদিকেদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দনে।
এ সময় গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের কাছে তুলে ধরেছি। প্রায় ৩০ মিনিটের আলোচনায় আগামী বছর সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে দুই দেশের সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে।’
‘এ সময় র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের কোনো বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ফোনে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে অনুরোধ জানিয়েছি। আমি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি—তাদের এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণ ভালোমতো নেয়নি’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
র্যাবের নিষেধাজ্ঞার তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমি এ নিয়ে বলিনি, উনিও বলেননি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘র্যাব দুর্নীতিপরায়ণ নয়’ জানিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের যে বৈশ্বিক নীতি—সন্ত্রাসবাদ দমন, মাদক চোরাচালান বন্ধসহ এমন অন্যান্য সব বিষয়েই র্যাব কাজ করছে।’
ভারতের রাষ্ট্রপতির সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। দুদেশের সম্পর্কের মাপকাঠি হচ্ছে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা। আমরা উভয় দেশই এ বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।’