মিনিকেট চাল আছে, দাবি নওগাঁ চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁ জেলা অটোমেটিক রাইস মিল মালিক সমিতি এবং ধান্য-চাউল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন। ছবি : এনটিভি

সম্প্রতি মিনিকেট চাল নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্যকে ‘গভীর যড়যন্ত্র’ বলে অভিযোগ করেছেন নওগাঁ জেলা অটোমেটিক রাইস মিল মালিক সমিতি ও নওগাঁ ধান্য-চাউল আড়তদার সমিতির নেতারা। দেশীয় চালকল শিল্পকে ধ্বংস করতে এবং চালকল মালিকদের হেয় করতে বিভিন্ন মহল থেকে অবৈজ্ঞানিক ও বাস্তবতা বিবর্জিত কথা বলা হচ্ছে বলে দাবি তাদের। এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ ধান্য-চাউল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির ভবনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীরা এ অভিযোগ করেন।

নওগাঁ জেলা অটোমেটিক রাইস মিল মালিক সমিতি এবং ধান্য-চাউল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা অটোমেটিক রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বাবু, বেলকল গ্রুপের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন, নওগাঁ ধান্য-চাউল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের আমলারা বলছেন, মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই। অথচ, তাঁরা সরাসরি বলছেন না মিনিকেট নামে বাজারে প্রচলিত চাল কোন ধান থেকে উৎপাদিত। অথচ, এই বিতর্ক ওঠার আগে গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বাজারে কমবেশি মিনিকেট চাল আছে। তাঁরা উত্তরাঞ্চলের নাটোর, নন্দীগ্রাম, সিংড়া, রনবাঘা, চৌবাড়িয়া এবং কুষ্টিয়ার বিভিন্ন বাজারে কৃষকদের কাছ থেকে মিনিকেট ধান কিনছেন। তাহলে, এটা কোন ধান? এই বিষয়টি স্পষ্ট করা হচ্ছে না। আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, মেশিনে চাল ছাঁটাই কিংবা সুপার পলিশ করে চাল ছোট কিংবা চাপ প্রয়োগ করে লম্বা করা হচ্ছে। বাস্তবতা হলো—দেশের কোনো চালকলে চাল ছাঁটাই কিংবা লম্বা করার কোনো মেশিন নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, পর্যাপ্ত সেচ সুবিধার কারণে গোটা উত্তরাঞ্চলে ইদানিং ব্যাপক হারে জিরাশাইল ধানের চাষ হচ্ছে। এই জিরাশাইল ধানই দেশের কোনো কোনো অঞ্চলের কৃষকেরা মিনিকেট নামে বাজারে বিক্রি করছে। এ কারণে জিরাশাইল ধান থেকে উৎপাদিত চাল কোথাও মিনিকেট আবার কোথাও জিরাশাইল নামে বিক্রি হচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, মিনিকেট চালের মতো প্রায় ৫০ বছর ধরে নাজির নামে এক ধরনের চাল বিক্রি হচ্ছে।’

‘মিনিকেট চাল প্রসঙ্গ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে’ দাবি করে নিরোদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, ‘চাল কেটে ছোট কিংবা লম্বা করার কোনো মেশিনই এখনও আবিষ্কার হয়নি। তবে, চাল ভেঙে খুদ করা যেতে পারে।’

বেলকন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘বলা হচ্ছে, বিভিন্ন জাতের ধানের চাউল কেটে নাকি মিনিকেট চাল তৈরি করা হয়। আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে আমার মিলে স্বাগত জানাতে চাই, আমার মিলে যে মিনিকেট চাল উৎপন্ন হয়, সেটি মেশিন দিয়ে কেটে ছোট কিংবা লম্বা করা হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য। এর আগেও দশবার এই পরীক্ষা দিয়েছি। আবার পরীক্ষা দিতে রাজি আছি।’