হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলন

মির্জা ফখরুলের আগমনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

Looks like you've blocked notifications!
মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি কার্যালয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলন। ছবি : এনটিভি

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আগমনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মাঠ। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের অনুষ্ঠানস্থলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভার আবেদন।

এর প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।

আগামীকাল শনিবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের অনুষ্ঠানের নির্ধারিত স্থানে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সভার আবেদন করায় পরিবর্তন করা হয়েছে পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান। পরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট  ৩০ এপ্রিল সভার আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলেনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মিলটন বৈদ্য লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আগামী ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আয়োজনে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রামে একটি সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। এতে বাঁধসাধে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটি একই স্থান চেয়ে মাদারীপুরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করে। তাদের লিখিত আবেদনে সুপারিশ করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান। ফলে বানচাল হয়ে যায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান। তাই সীমিত পরিসরে আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠান করার আবেদন করা হয় পুলিশ সুপারের কাছে। সেই অনুষ্ঠান সফল হওয়া নিয়েও শঙ্কিত আয়োজকরা।’

মিলটন বৈদ্য আরও বলেন, ‘আমাদের পূর্ব নির্ধারিত সভা বানচালের জন্য মরিয়া একটি প্রভাবশালী মহল। যে কারণে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ বিক্ষোভ মিছিল-মিটিং করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমাদের আয়োজন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মঙ্গলের জন্য। কিন্তু এটাকে রাজনৈতিভাবে প্রতিহত করা হচ্ছে। আমরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বড় বড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সভা-সেমিনার করব। কিন্তু রাজৈরের অনুষ্ঠানটি কেন পণ্ড করাতে মরিয়া তারা, বিষয়টি বুঝতে পারছি না। আশা রাখি, আগামী ৩০ এপ্রিলের অনুষ্ঠানটি সফল করতে সবার সহযোগিতা পাব।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নৃপেন বৈদ্য, মাদারীপুরের ইসকনের অনুসারী প্রাণসখা বল্লদেব দাশ ব্রহ্মচারী, রিপুনাশন দাস ব্রহ্মচারী, কানু চন্দ্র নাথ প্রমুখ।