মুচলেকা দিয়ে মধ্যরাতে ছাড়া পেলেন মা-ছেলে

Looks like you've blocked notifications!
দিনভর থানায় আটকে রাখা হয় ঢাকার কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলেকে; মধ্যরাতে ছাড়া হয় তাঁদের। ছবি : সংগৃহীত

আটক করার দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর সমাজকর্মী সৈয়দা রত্না এবং তাঁর ছেলে ঈসা আব্দুল্লাহকে ছেড়ে দিয়েছে রাজধানীর কলাবাগান থানা পুলিশ। তবে, তাঁদের মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেতে হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে কলাবাগান থানা থেকে দুজনকে মুক্তি দেওয়া হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শরীফ মোহাম্মদ বলেন, সৈয়দা রত্নার নামে মামলার প্রস্তুতির পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। রত্না মুচলেকা দিয়েছেন। তিনি পুলিশের কাজে আর বাধা দেবেন না বলে জানিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে রাতে তাঁর পরিবারের জিম্মায় রত্না ও তাঁর ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

শরীফ মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘মামলার সিদ্ধান্ত থাকলেও পরে রত্নার সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা হয়। তিনি আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং মুচলেকা দিয়েছেন যে, পুলিশের কাজে বাধা দেবেন না। তাই আমরা আর হার্ডলাইনে যাইনি।’

এর আগে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সমাজকর্মী রত্না ও তাঁর ছেলেকে আটক করা হয়েছিল। রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা খেলার মাঠ দখল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবাদ করছিলেন এ নারী। স্থানীয়রা বলছেন, এ মাঠে কলাবাগান থানার ভবন নির্মাণের কথা রয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার সকালে তেঁতুলতলা মাঠ থেকে রত্নাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে সৈয়দা রত্না ফেসবুক লাইভে গিয়ে ওই মাঠটি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। এ সময় কয়েকজন সাদা পোশাকধারী এবং পোশাকধারী পুলিশ তাঁকে লাইভ করতে নিষেধ করেন। এর পরপরই ওই পুলিশ সদস্যরা তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তাঁকে টেনে হিঁচড়ে একটি পুলিশ ভ্যানে তুলে নেন।

সৈয়দা রত্নার লাইভের একটি অংশসহ এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত ৩১ জানুয়ারি কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে তারকাঁটার বেড়া দেয় পুলিশ। এ মাঠে কলাবাগান থানার নতুন ভবন নির্মাণ করার কথা রয়েছে। তবে, মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে কলাবাগান এবং এর আশপাশের এলাকার শিশু-কিশোরদের খেলার জায়গা হিসেবে পরিচিত। খেলার মাঠটি রক্ষায় বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল শিশু-কিশোরেরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন সমাজকর্মী সৈয়দা রত্না।