মুজিববর্ষেই বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের দেশে আনা সম্ভব হবে, আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সঙ্গে জড়িত পলাতক বাকি খুনিদের মুজিববর্ষেই দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে ঢাকা থেকে প্রেপ্তারের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার এক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘করোনা সংকটের মধ্যেও আমরা খুশির একটা খবর পেলাম। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের একজন আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
‘আমরা আশা করেছিলাম, মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের অন্তত একজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের সম্মুখীন করা হবে। আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা যে তা সম্ভব হলো,’ যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তবে, এখনো পাঁচজন খুনি পলাতক রয়েছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, মুজিববর্ষেই বাকি খুনিদেরও দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এ জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দরকার দেশের ও প্রবাসী জনগণের সহযোগিতা। আমাদের আশাবাদ মুজিববর্ষেই তা সম্ভব হবে।’
গতকাল সোমবার রাতে মিরপুর থেকে আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এএম জুলফিকার হায়াত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ডিএমপির উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি দল গতকাল রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাজেদকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তবে, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।
বঙ্গবন্ধুর পাঁচ হত্যাকারী সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে কার্যকর হয়।
আরেক খুনি আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার কারণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক ১২ সেনা কর্মকর্তার ফাঁসির রায় ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহাল রাখে।
পলাতক আসামিরা হলো সাবেক লেফট্যানেন্ট কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলে উদ্দিন।