মুজিববর্ষে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জামা, জুতা ও ব্যাগ উপহার

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় জামা, জুতা ও ব্যাগ কিনতে এক হাজার টাকা দিচ্ছে সরকার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

আজ সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে পাঠানোর ঘোষণা দিয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, করোনার কারণে আপাতত স্কুল বন্ধ রয়েছে। স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গে নগদ-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মোবাইলে এই টাকা পৌঁছে যাবে।

জাকির হোসেন বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীকে সরকার বিনামূল্যে বই দিয়েছে। এখন জামা, জুতা, ব্যাগ কিনতে সরকার প্রতি শিক্ষার্থীকে এক হাজার টাকা করে মোট সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এরই মধ্যে নতুন এ পদ্ধতিতে দেশের আট উপজেলায় ৮৬ হাজার ৪৫২ জন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির তিন কোটি ৬৪ লাখ পাঁচ হাজার ২২৫ টাকা টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য সব জেলা ও উপজেলার শিক্ষার্থীরাও একই পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনে উপবৃত্তির টাকা পেয়ে যাবেন।

বাংলাদেশর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রাথমিক স্তরে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণে স্বচ্ছতা আনা ও দুর্নীতি কমাতে এখন থেকে ডিজিটাল ফাইন্যানসিয়াল সার্ভিস নগদকে বেছে নিয়েছে সরকার। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য মাসিক ১৫০ টাকা হারে তিন মাসের ৪৫০ টাকা পাঠানো হয়েছে। উপবৃত্তির মাধ্যমে বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশে উন্নীত করা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার প্রায় ৯৬ শতাংশ অতিক্রম করা, ঝরে পড়ার হার ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাথীদের মধ্যে উপবৃত্তি কর্মসূচি প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে একটি মাইলফলক। শিশুরাই জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজের আগামীর সৈনিক। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে ভবিষ্যত জাতি গঠনের সোপান। আজকের শিশুরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। ওদের হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। তিনি শিশুদের মানবসম্পদ হিসেবে তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।