মুন্সীগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পথচারী নিহত, গুলিবিদ্ধ ১১

Looks like you've blocked notifications!
জেলা ম্যাপ।

মুন্সীগঞ্জ সদরের বকুলতলা এলাকায় সোমবার বিকেলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মনির হোসেন মোল্লা (৭০) নামে পথচারী এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন সোলারচর এলাকার শাকিল সিকদার এর ছেলে আলভী (১৪), মিজানের ছেলে রিমন (১৪), আরমান গাজীর ছেলে আশিক (২১), রহমানের ছেলে হৃদয় (১৮), হিরা সরকারের ছেলে শরীফ (২২), নাসির উদ্দিন ছেলে রিয়াজ (২৫), নুর মোহাম্মদ এর ছেলে রাসেল (২৪), তেঁতুলিয়া এলাকার জসীমউদ্দিন এর ছেলে মাহিম, চর আব্দুল্লাহ্ এলাকার জমসেদ নাসের (৪৫), সোলারচর এলাকার রহমানের ছেলে হাসান (২৫), বকুলতলা এলাকার মোতালেব মোল্লার ছেলে মনির হোসেন মোল্লা (৬৫), জাজিরা এলাকার নুরু বেপারীর ছেলে ফাহাদুল (২০)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মুন্সীগঞ্জ আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে আকুলতা এলাকায় সোমবার দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি বিনিময় হয়। এতে পথচারী মনির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ মনির হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মনির হোসেন মোল্লাকে হাসপাতালে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গুলিবিদ্ধ মনির হোসেন মোল্লা (৬৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান বলে তার পরিবার জানায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আধারা ইউনিয়নের বকুলতলা এলাকার মোতালেব মোল্লার ছেলে।

নিহত মনির হোসেন মোল্লার মেয়ে সানিয়া বলেন, বকুলতলা, আধারা ও সোলারচর এলাকার মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় আমার বাবা নামাজ পরে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. তারিকুজ্জামান বলেন, যিনি মারা গেছেন তিনি কোন গ্রুপের, আদৌ গ্রুপের কিনা বলতে পারছি না। তিনি কীভাবে মারা গেছেন, সেটাও আমরা তদন্ত করে দেখছি। পরে বলতে পারব। খবর শুনে হাসপাতালে গিয়ে দেখি তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আমরা কিছুই বলতে পারছি না।