মুন্সীগঞ্জে শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিক্ষক আটক

Looks like you've blocked notifications!

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে (২৭) আটক করা হয়। তিনি উপজেলার একটি কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসার শিক্ষক। তাঁর বাড়ি গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের সালনা এলাকায়।

এ ঘটনায় মাদ্রাসাটিতে ভাঙচুর চালিয়েছে স্থানীয়রা। শিশুটির স্বজনদের অভিযোগ আরবি শিখতে মোহাম্মদ আলীর কাছে নিয়মিত ওই মাদ্রাসায় যেত শিশুটি। গত সোমবারও শিশুটি পড়তে গেলে তাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

এ ঘটনায় শিশুটির অভিভাবকরা ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যকে বিষয়টি জানান। তিনি আজ সকালে লোকজন নিয়ে ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসায় যান। এ সময় প্রায় শতাধিক উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসায় ভাঙচুর চালায় এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করতে উদ্যত হয়। এ সময় ওই শিক্ষক জরুরি সেবার ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশের সাহায্য চান । পরে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষক অপরাধী হলে তাঁর বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হবে–তাতে আমার দ্বিমত নেই। কিন্তু তিন দিন আগে ঘটনা ঘটলেও প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে আমার কাছে কেউ কিছু বলেনি। সকালে কিছু বুঝে উঠার আগেই ইউপি সদস্যসহ বহু লোক এসে মাদ্রাসায় ভাঙচুর করে এবং শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে মারধর করে।’

ইউনিয়ন পরিষদের ওই সদস্য বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর মাদ্রাসায় গিয়ে তা মীমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।’

যৌন হয়রানির ঘটনা মীমাংসা করা যায় কি না? এমন প্রশ্নে ইউনিয়ন পরিষদের ওই সদস্য কোনো উত্তর দেননি। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে আটক করা হয়েছে। শিশুটির পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’