মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নয়ন বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় নাতনিকে উত্তক্তের প্রতিবাদ করায় শিক্ষকসহ দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নয়নকে বিদেশি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. ইলিয়াস খান।
তিনি বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নয়ন শেখের বাড়ি ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামে। গত রাতে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পলাশী গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
কোম্পানি কমান্ডার মো. ইলিয়াস খান বলেন, ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের পর সে প্রথমে ঢাকায় পালিয়ে যায়। তারপর কোর্টে আত্মসমর্পণ করে এ মামলায় দেড় বছর জেলে ছিল। জামিনে মুক্তি পেলেও পরবর্তীতে জামিন বাতিল হওয়ায় নয়ন ভারতে পালিয়ে যায়। সেখানে এক গৃহস্থের বাড়িতে মহিষের রাখাল হিসেবে কাজ করতো। ভারতে থাকা অবস্থায় নয়ন কুষ্টিয়া ও রাজশাহীর বালুর ইজারাদারদের থেকে বিকাশের মাধ্যমে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতো। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে নিজস্ব ট্রলারের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা এবং মারামারির অভিযোগ রয়েছে।’
নয়নের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা ও দৌলতপুর থানায় একটি অস্ত্র মামলা, একটি ডাকাতি, দুটি মারামারি ও একটি ছিনতাই মামলা রয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এর আগে, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর এলাকায় দুর্বৃত্তরা অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে ফকিরাবাদ গ্রামের শিক্ষক মুজিবর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমানকে হত্যা করে। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাতনিকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় তারা এ হত্যার শিকার হন।
এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এই নয়ন শেখসহ চারজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও সাতজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।