মৃত্যুদণ্ডের আসামি আব্দুল মজিদ গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
র‍্যাবের হাতে গতকাল বুধবার রাতে গ্রেপ্তার আব্দুল মজিদ। ছবি : র‍্যাব

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল মজিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মাদারীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।

আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের দাবি, ‘আব্দুল মজিদ দীর্ঘদিন পলাতক থেকে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছিলেন।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অভিযোগ রয়েছে—যুদ্ধকালীন সময়ে আব্দুল মজিদ নেত্রকোনায় একাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে কংস নদীতে ফেলে দেন এবং অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের মরদেহ কোকখালী নদীতে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেন। এই হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি তারা আব্দুল খালেকের বাড়িতে লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করেন।

লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ‘২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আব্দুল মজিদসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত মুক্তিযোদ্ধার ভাই আব্দুল কাদের। পরে মামলার তদন্তে এই ঘটনায় আরও তিনজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় এবং আসামিদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ প্রসিকিউশনে প্রমাণিত হয়।’

সাংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩৬তম রায়। বিচার চলাকালে এই মামলার দুজন আসামি (আহম্মদ আলী ও আব্দুর রহমান) মারা যান। আর রায় হওয়ার পর পলাতক অবস্থায় মারা যান আরও দুই আসামি (রদ্দিন মিয়া ও আব্দুস সালাম বেগ)। মামলার আরও দুইজন আসামি আব্দুল খালেক তালুকদার ও কবির খাঁ বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

যেভাবে আত্মগোপনে এতদিন

মজিদের বিরুদ্ধে মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালে আব্দুল মজিদ তার নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন। ফকিরাপুল এলাকায় কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর আত্মীয়ের সহযোগিতায় মাদারীপুরে গিয়ে আত্মগোপন করেন এবং একটি কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে কখনও আদালতে হাজিরা দেননি।

পলাতক অবস্থায় ঘনঘন বাসা পরিবর্তন করতেন মজিদ। এসময় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা একটি সিম দিয়ে। তার ছেলে-মেয়েরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়ায় প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য নিয়মিত টাকা পাঠাত।