মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে গুলিবিদ্ধ শিশু রাফি
বিভিন্ন সময় ইয়াবা ব্যবসা, বালু উত্তোলন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সন্ত্রাসীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছিলেন ডেইলি ইভিনিং নিউজের চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান সৈয়দ কামরুল হাসান। তাঁর বাড়ির কাছে এসে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় কামরুল হাসান ছাড়াও গুলিতে আহত হয় শিশু রাইয়ান রাফি (৫)। পরে লোকজন এসে রক্তাক্ত রাফি ও কামরুলকে উদ্ধার করে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে শিশু রাইয়ান রাফির অবস্থার অবনতি হওয়ায় নেওয়া হয় আইসিইউতে। এখন আইসিইউতে আছে সে। ঈদের আনন্দ উপভোগ করার সময় সে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় শোকাতুর পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো সাতকানিয়া ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আঙিনায়।
গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার এওচিয়ার ৯নং ওয়ার্ডে কামরুল হাসানের বাড়ির পাশে এসে শীর্ষ সন্ত্রাসী টোকাই মানিক ও পিচ্চি মিজানের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা এই হামলা চালায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। টোকাই মানিক ও পিচ্চি মিজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও হত্যার অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
রাফির বাবার আব্দুর রহিম কান্নাজড়িত কণ্ঠে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার শিশুর অপরাধ কী? কেন আমার নিষ্পাপ শিশুকে গুলি করে ঝাঝড়া করে দেওয়া হলো? আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।’
এদিকে সাংবাদিক কামরুল হাসানও চমেক হাসপাতালের ৯তলায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডাক্তার আ ম ম মিনহাজুর রহমান শিশুটির সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রাফির পেছন দিকে গুলি লেগে পেট দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এতে অন্তনালির দুই তৃতীয়াংশ কেটে ফেলতে হয়েছে। তাই শিশুটি এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘এওচিয়ায় গুলি করে শিশু রাফি ও কামরুল হাসানকে আহত করার ঘটনায় পুলিশ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে মাঠে কাজ করছে। কোনো সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না।’